শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ জুন, ২০২৪ (বাসস) : ভর্তুকি মূল্যে ভোজ্যতেল সরবরাহের লক্ষ্যে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৪৯৩ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকার সয়াবিন তেল ও রাইস ব্রাণ অয়েল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৩৩১ কোটি ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার সয়াবিন তেল এবং ১৬২ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার মসুর ডাল রয়েছে।
এই তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। শনিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক এই অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদ দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৫০ টাকা ৪৮ পয়সা। এতে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে মোট খরচ হবে ৩৩১ কোটি ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে এই সয়াবিন তেল কেনা হবে।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত পুনঃদরপত্র পদ্ধতিতে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি লিটার ১৪৭ টাকা ৩৫ পয়সা হিসাবে এই রাইস ব্রাণ তেল কিনতে মোট খরচ হবে ১৬২ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সচিব জানান, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি'র সভায় মোট ৬টি প্রস্তাব উপস্থাপিত ও আলোচিত হয়। এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি, সেতু বিভাগের একটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে দুটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি। সবগুলো প্রস্তাব মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।
সভায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ ৪-লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের দুটি প্যাকেজের জন্য ২ হাজার ৪৬ কোটি ৮৩ লাখ ২৮ হাজার ১৫ টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল কেমিক্যাল কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন গ্রুপ এই কাজ পেয়েছে।
মাহমুদুল হোসাইন জানান, বাংলাদেশ সরকার (জিওবি) ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)-এর অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন ‘সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ ৪-লেনে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর- ১ এর ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এতে ব্যয় হবে ৬৬০ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার ৪২৩ টাকা। সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠার হলো চায়না ন্যাশনাল কেমিক্যাল কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন গ্রুপ।
এছাড়া একই প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ নম্বর -৩ এর ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৩৮৬ কোটি ১২ লাখ ০২ হাজার ৫৯২ টাকা। সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠার হলো চায়না ন্যাশনাল কেমিক্যাল কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন গ্রুপ।
এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১১৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বাস্তবায়নকারী সংস্থা হলো বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
এই সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১১৪ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩২২ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিলো ২৭১ দশিক ৫০ মার্কিন ডলার।
অপরদিকে পদ্মা বহুমুখী সেতুর নদী শাসনের ব্যয় ২৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৯ টাকা বাড়ানোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে পদ্মা সেতুর নদী শাসনের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮৩৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৯ টাকা।