শিরোনাম
ঢাকা, ১৩ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস): বাংলাদেশ এবং ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আবদৌলায়ে সেক আজ বলেছেন, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ বাংলাদেশের প্রতি এর প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণ করেছে এবং তারা প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
তিনি আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে তার ইআরডি অফিসে দেখা করার পর বলেন, "আমরা আমাদের বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণ করেছি এবং আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে বিশ্বব্যাংক এবং বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৭২ সাল থেকে ৪২ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতিসহ দীর্ঘস্থায়ী শক্তিশালী অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে কাজ করতে প্রস্তুত।”
সেক বলেন, তারা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে আর্থিক খাত, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সংস্কার, ব্যবসায়িক পরিবেশ এবং তাই এর এজেন্ডা হচ্ছে-বেসরকারী-খাতের নেতৃত্বে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অন্তর্ভুক্তির এজেন্ডা এবং জলবায়ু ঝুঁকির স্থিতিস্থাপকতার এজেন্ডা।
বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা নিয়ে কোনো উদ্বেগ আছে কি না জানতে চাইলে সেক বলেন, এটা কখনোই উদ্বেগের বিষয় ছিল না, গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশ একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার। তিনি বলেন, আমি যেভাবে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ক্ষমতায় কাজ করেছি তাতে বাংলাদেশের জন্য এটি কখনই উদ্বেগের বিষয় নয়। সুতরাং, আমি মনে করি, এই দেশের এটা নিয়ে গর্ব করা উচিৎ।
আর্থিক খাতের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, যেহেতু এটি একটি জটিল এজেন্ডা হয়েছে, তাই বিশ্বব্যাংক গ্রুপ অনেকগুলো নীতি-ভিত্তিক ঋণ এবং ব্যাংক কোম্পানি আইনের মতো এই এজেন্ডায় সমর্থন দিয়ে আসছে।
"কিন্তু, তবুও এনপিএল কীভাবে কমানো যায়-এর মতো অনেকগুলো সমস্যা রয়েছে এবং যাতে আমরা কীভাবে একসাথে কাজ করতে পারি সে বিষয়ে উৎসাহিত করা হয়েছে। "
সেক সাম্প্রতিক ছাত্র-নেতৃত্বাধীন কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণহানি ও গণহত্যা বিশ্বব্যাংক গ্রুপের পক্ষ থেকে আন্তরিক শোক প্রকাশ করেছেন। গণজাগরণের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ যা কিছু সমর্থন করতে প্রস্তুত রয়েছে তারা নিয়ম-কানুন মেনে বাংলাদেশের মানুষের জন্য করতে পারে এবং এটা সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে আরও সচল করতে সরকার চাইছে এর উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বিশেষ করে বিশ্বব্যাংক এবং আইএফসি’র কাছ থেকে সব ধরনের সমর্থন।
বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের জন্য আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হল্টম্যান বলেন, একটি শক্তিশালী অর্থনীতির একটি শক্তিশালী আর্থিক খাত প্রয়োজন। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের বেসরকারি খাতের শাখা হিসাবে আইএফসি বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে।