শিরোনাম
দোহা, ১৫ আগস্ট, ২০২৪(বাসস) : কাতার বৃহস্পতিবার গাজায় প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার আয়োজন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরায়েলে ইরানের হামলা বন্ধ করবে এবং একটি বৃহত্তর যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হবে।
মার্কিন, কাতারি এবং মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে আলোচনার জন্য ইসরায়েল এবং হামাসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে প্রায় ৪০,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের বেশীরভাগ নারী ও শিশু।
কাতারের রাজধানী দোহায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে, হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এবং আলোচনার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বুধবার এ কথা জানিয়েছে।
দোহা বৈঠকের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি মার্কিন সূত্র জানায়, সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস এই বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
ইসরায়েল নিশ্চিত করেছে, তারা অংশগ্রহণ করবে, যদিও হামাস বৈঠকে অংশ নেবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
গত নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির পর থেকে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা বারবার থমকে গেছে, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত এটিই ছিল একমাত্র যুদ্ধ বিরতি। এই চুক্তির অধীনে তখন ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে হামাস কয়েক ডজন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।
আরো আলোচনার পরিবর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ৩১ মে’র দেয়া প্রস্তাব বাস্তবায়নের দাবির পর হামাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ইসলামি আন্দোলন হামাস ‘মধ্যস্থতাকারীদের সাথে তার পরামর্শ চালিয়ে যাচ্ছে’।
এ সময় বাইডেন তার প্রস্তাবে বলেন,পর্যায়ক্রমে পরিকল্পনাটি শুরু হবে, প্রাথমিক ছয় সপ্তাহের ‘সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি’ হবে,এতে গাজায় আটক কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া এবং অবরুদ্ধ অঞ্চলে মানবিক সহায়তার ‘বৃদ্ধি’ করা হবে। এ সময় যুদ্ধরত পক্ষগুলো ‘শত্রুতার স্থায়ী অবসান’ নিয়ে আলোচনা করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বলেছেন, ‘এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,এটি সম্পন্ন করার জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে এবং এই যুদ্ধের প্রসার কারো জন্য ভালো নয়।’ মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বুধবার এ কথা বলেন।
তেহরানে সফরের সময় হামাসের রাজনৈতিক নেতা এবং যুদ্ধবিরতি আলোচক ইসমাইল হানিয়াহকে ৩১শে জুলাই হত্যার পর আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় সর্বশেষ মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়।
এই হত্যার জন্য ইরান এবং তার মিত্ররা ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে,যদিও ইসরায়েল এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। এ ঘটনায় তেহরান এবং এই অঞ্চলে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, এতে গাজায় ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধ আরো বিস্তৃত সংঘাতের দিকে ধাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।