বাসস
  ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১৮:২৯

গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র 

ঢাকা, ২৫ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস): মিয়ানমারে গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালে মিয়ানমারে কর্তৃক সংঘটিত নৃশংস গণহত্যার বার্ষিকীতে ওয়াশিংটন এ প্রতিশ্রুতির কথা জানায়। 
রোহিঙ্গা গণহত্যা স্মরণ দিবস উপলক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং বার্মা (মিয়ানমার), বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।’
তিনি বলেন, বার্মায় চলমান মানবিক সংকট ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে মিয়ানমারের অনেক জাতিগত সদস্য এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী,বিশেষ করে রোহিঙ্গারা আরো বেশি সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। 
তিনি বলেন, গত সাত বছরে মানবিক সহায়তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২.৪ বিলিয়ন ডলার অবদান রেখেছে এবং এটি রোহিঙ্গা ও সকল বেসামরিক নাগরিকের বিরুদ্ধে সংঘটিত ব্যাপক নৃশংসতা ও নির্যাতনের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।  
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অটুট শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য বার্মার (মিয়ানমার) জনগণের আকাক্সক্ষার প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে, আমরা বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই।’
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় নিয়েছে এবং তাদের অধিকাংশই সেখানে পৌঁছেছে মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের পর, যাকে জাতিসংঘ “জাতিগত নির্মূলের ‘প্রকৃষ্ট’ উদাহরণ’ হিসেবে এবং অন্যান্য অধিকার  গোষ্ঠী এটিকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে। গত সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাও তাদের নিজ দেশে ফেরেনি।
মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা ও আস্থার ঘাটতির কারণে প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা দুবার ব্যর্থ হয়েছে।