বাসস
  ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৩২

এলসি মার্জিন তুলে দেওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি সঞ্চার করবে : ঢাকা চেম্বার সভাপতি

ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস): ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেছেন, এলসি মার্জিন তুলে দেওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গতি সঞ্চার করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি এক সার্কুলারের মাধ্যমে কয়েকটি বিলাসবহুল পণ্য ও বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়, এমন কিছু পণ্য ছাড়া সব ধরনের আমদানিতে এলসি মার্জিন তুলে দেয়ার সিদ্ধন্ত গ্রহন করেছে। ফলে পণ্য আমদানি পর্যায়ে যে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছিল তা অনেকাংশে নিরসন হবে এবং শিল্পায়নে গতি সঞ্চার হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।  
আশরাফ আহমেদ আশা প্রকাশ করেন, দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারী (সিএমএসএমই) শিল্পখাত উন্নয়নের আর্থিক সেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেয়ায় এই খাতের উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন আরো সহজতর হবে। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাধুবাদ জানান চেম্বার সভাপতি।   
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে আমদানিকারকরা সকল ধরণের মূলধনী যন্ত্রপাতি, ভোক্তা পণ্য, মূলধনী কাঁচামাল-ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে কোন ধরনের মার্জিন ছাড়া আমদানি করতে পারবে। এছাড়াও আমদানি বৃদ্ধি পেলে নতুন বিনিয়োগ, পুণঃবিনিয়োগ, মূলধনী যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতাসহ সামগ্রিক উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ফলে রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হবে প্রত্যাশা করছেন আশরাফ আহমেদ। তার মতে, এতে শিল্প কলকারখানাগুলোতে কাঁচামালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে শিল্পকারখানাসমূহ পূর্ণ সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদনে যেতে পারবে এবং বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়বে সেই সঙ্গে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির উপর।
দেশের আর্থিক খাতে চলমান তারল্য সংকট, বিশেষ করে সিএমএসএমইদের সহজ ঋণ প্রাপ্তিতে জটিলতাসহ নানা কারণে এমনিতেই বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ যখন হ্রাস পেয়েছে, ঠিক সেসময় ‘আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন তহবিল’-এর আওতায় এ ধরনের একটি উদ্যোগ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পেতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন ডিসিসিআই সভাপতি।
তার মতে, সিএমএসএমই খাতের পণ্য ও সেবার উৎপাদন, আয় ও কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধির জন্য এই তহবিল কাজে আসবে। ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঘুরে দাঁড়াতে, ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের চাহিদা মেটাতেও এ তহবিল বেশ সহায়ক হবে। বিশেষত সিএমএসএমই’র জন্য এই তহবিলের আওতায় পুনঃঅর্থায়নের ক্ষেত্রে সুদহার কোনক্রমেই ৮% শতাংশের বেশি হবেনা এবং এক্ষেত্রে কোন ধরনের সুপারভিশন চার্জ, এমনকি আর্লি সেটেলমেন্ট ফি আরোপ করা যাবেনা, যা সিএমএসএমইদের জন্য স্বস্তির বিষয়।