বাসস
  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৩
আপডেট  : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৫৩

উভয় পক্ষকে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান গুতেরেসের

ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : জতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরাইলি হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং উভয় পক্ষকে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান অহ্বান জানিয়েছেন।
মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি বলেছেন, সহিংসতা এখনই বন্ধ করতে হবে। লেবানন ও ইসরাইলসহ এ অঞ্চলের জনগণ একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের ভার বহন করতে অপারগ। 
নিউইয়র্ক থেকে ইউএননিউজ পোর্টাল ২৮ সেপ্টম্বর জানায়, তিনি নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ১৭০১ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে এবং যুদ্ধ বন্ধ করতে, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য পক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরাইলি বিমান হামলায় সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দুই দেশের সীমান্তে (নীল রেখা) উত্তেজনা এখন ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ইসরাইল গত কয়েক সপ্তাহে লেবাননে হিজবুল্লাহ অবস্থান লক্ষ্য করে কয়েক ডজন বিমান হামলা চালিয়েছে, এতে ৭০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈরুতে হামলার পর লেবাননে মানুষ বিপুল সংখ্যায় সরে যাচ্ছে। জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) অনেক জায়গায়এসব মানুষের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করেছে। সংস্থাটি জানায়, পাঁচ হাজারের বেশি মানুষকে জরুরি সাহায্য দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) জানায়, লেবানন থেকে সিরিয়ায় অভিবাসিত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের মধ্যে লেবাননে বসবাসকারী সিরিয়ান ও ফিলিস্তিনি শরণার্থীরাও রয়েছেন।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর মতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে লেবাননে মোট ২১১,৩১৯ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার (ইউএনআরএ) কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, সংস্থাটির বিভিন্ন টিম বাস্তুচ্যুত লোকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে নিযুক্ত রয়েছে।
ইউএনআরএ সারা দেশে সাতটি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করেছে যেখানে বর্তমানে ১,৬০০ জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। লেবাননের নাগরিকদের পাশাপাশি তাদের মধ্যে ফিলিস্তিনি ও সিরিয়ান শরণার্থীও রয়েছেন।
কমিশনার জেনারেল বলেছেন, তাদের মধ্যে অনেক লোক রয়েছেন যারা বোমা হামলার ফলে আহত হয়েছে। যুদ্ধ বিস্তৃত হলে নাগরিকদের দুর্ভোগ আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা উচিত এবং বেসামরিক স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করা এড়ানো উচিত।