শিরোনাম
ঢাকা, ২ অক্টোবর, ২০২৪, (বাসস) : ইউরোপে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী ব্যবসায়ীরা দেশের ওষুধ, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি, সেবা খাত এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ইউরোপ-বাংলাদেশ ফেডারেশন অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ইবিএফসিআই) ২৬ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল আজ রাজধানীর গুলশানে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে এ আগ্রহ প্রকাশ করে। এফবিসিসিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই’র প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানি বাজার হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপের দেশগুলোর সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি, ইবিএসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সুবিধা দিয়ে আসছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভবিষ্যতেও তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গতিশীল নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই’র এ নতুন প্রশাসক।
হাফিজুর বাংলাদেশে আরও বেশি ইউরোপীয় বিনিয়োগ আসবে বলে প্রত্যাশ ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প, পুঁজিবাজার, কৃষি ও অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ করতে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ ইউরোপের বিনিয়োগকারীদের তিনি আহ্বান জানান।
ইবিএফসিআই প্রতিনিধি দলের সভাপতি ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে নতুন প্রজন্মের প্রবাসী ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আগ্রহ বেড়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মুক্ত আলোচনায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রমে শুল্ক ও ভিসা পদ্ধতি সহজ করার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ও ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রয়োজনীয় বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ওপর জোর দেন। কেবলমাত্র জাতিগত বাজারে (প্রবাসী বাংলাদেশী ভোক্তা) সীমাবদ্ধ না থেকে ইউরোপের মূল বাজারে জায়গা করে নেয়ার জন্য পণ্য বহুমুখীকরণ, প্যাকেজিং, বাজারজাতকরণ ও বিপণন কৌশল উন্নয়নসহ প্রমোশন ও ব্রান্ডিংয়ের প্রতি নজর বাড়ানোর পরামর্শও দেন তারা। এর পাশাপাশি, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কাস্টমস ও ভিসা জটিলতা সহজীকরণের জন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান।
উইমেন এন্টারপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডব্লিউইএবি) সভাপতি নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালকবৃন্দ, ইবিএফসিআই’র নন-এক্সিকিউটিভ পরিচালকবৃন্দ, অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মো. আলমগীর, আন্তর্জাতিক উইংয়ের প্রধান মো. জাফর ইকবাল এনডিসি ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।