বাসস
  ০২ অক্টোবর ২০২৪, ২১:৫০

আর্থিক খাতের দুর্বলতা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংক টাস্কফোর্সকে সহায়তা করছে : আইএমএফ

ঢাকা, ২ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : দেশের আর্থিক খাতের দুর্বলতা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) গঠিত টাস্কফোর্সকে উন্নয়ন অংশীদার বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), ইউএসএআইডি, ও যুক্তরাজ্যের এফসিডিওর মাধ্যমে সহযোগিতা করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। 
বাংলাদেশে আইএমএফ মিশন প্রধান ক্রিস পাপেজর্জিউ বলেন, ‘৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের অবিচল অংশীদার, অর্থায়ন সহায়তা, নীতি পরামর্শ এবং সক্ষমতা উন্নয়নে  সহায়তা করে আসছে আইএমএফ।’
ক্রিস পাপেজর্জিউর নেতৃত্বে আইএমএফের  একটি  দল উন্নয়ন এবং কর্তৃপক্ষের সংস্কার অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করতে গত ২৪-৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা সফর করে। 
আর্থিক খাতের ছয়জন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। 
টাস্কফোর্স দলের সদস্যরা হলেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুহাম্মদ এ (রুমী) আলী, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মেহেয়ার এম হাসান, বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এবং খোদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানির পার্টনার সাব্বির আহমেদ, এফসিএ।
টাস্কফোর্সের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর
ব্যাংকিং খাতের সংস্কারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি একটি শ্বেতপত্রও প্রকাশ করবে টাস্কফোর্স।
বাসসের সাথে আলাপকালে ক্রিস পাপেজর্জিউ বলেন, অগ্রাধিকার হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক মান ব্যবহার করে নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) সঠিকভাবে প্রাক্কলন এবং তা হ্রাস করার জন্য একটি উপযুক্ত পরিকল্পনা তৈরির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা।
তিনি বলেন, ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে না বা এনপিএল নতুন ঋণের জন্য উপলব্ধ তহবিল হ্রাস করে আর্থিক খাতে উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করে যার ফলে আর্থিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম অনুশীলনের সাথে সঙ্গতি রেখে সম্পদের গুণমান পর্যালোচনা পরিচালনা করা, ব্যাংকিং পুনরুদ্ধার ও রিসলিউশন  কাঠামো প্রতিষ্ঠা এসব সমস্যা মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন তিনি। 
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘস্থায়ী আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি-ভিত্তিক তদারকি বাস্তবায়ন, কর্পোরেট গভর্ন্যান্স জোরদার, নিয়ন্ত্রণ কাঠামো সংস্কার ত্বরান্বিতকরণ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা বাড়ানোর মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়ন্ত্রণ পরিবেশ শক্তিশালী করা উচিত। 
মিশন প্রধান প্রবৃদ্ধি সহায়তার জন্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন সচল করতে দেশীয় পুঁজিবাজারের বিকাশের ওপরও জোর দেন।