বাসস
  ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:২০
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৩৫

ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগীরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে : সাকি

রংপুর, ৮ অক্টোবর, ২০২৪(বাসস) : গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের কঠোর প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার চলে গেছে। কিন্তু তাদের দোসররা এখনও ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও বলছেন যে, তিনি শীঘ্রই দেশে ঢুকে পড়বেন এবং ক্ষমতায় আসার পর তিনি সবাইকে দেখে নেবেন।’
সোমবার রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জুলাই-আগস্ট-২০২৪ ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্যে সাকি একথা বলেন।
এ সময় যুবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল এবং সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সাহসীকতার সাথে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছিল।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘এ অবস্থা দেখে ফ্যাসিস্টের এক সঙ্গী বললো, স্যার, একটা গুলি লাগলে একজন মারা যায়। কিন্তু অন্যরা যায় না, তাদের সংখ্যা বাড়ে।’
ফ্যাসিবাদীরা যেন এদেশে আর মাথা উঁচু করতে না পারে, সেজন্য সাকি জুলাই-আগস্টের মতো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল ছিল। কিন্তু তিনি (শেখ হাসিনা) দলটিকে কোথায় নামালেন?
জুনায়েদ সাকি বলেন, ‘এত হত্যা করার পরও তাদের কোনো অনুশোচনা নেই। তারা এখনো প্রতিশোধের কথা বলে আর সে উদ্দেশ্যে দেশে নানা ঘটনা ঘটছে।’
যারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে জাতিকে বিভক্ত করেছিল, তারা এখনো বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সাকি আরো বলেন, ‘এ লক্ষ্যে পুরানো ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলো দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। তাদের অসৎ উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করতে পাহাড়, মন্দির ও মাজারগুলোতে হামলা চালানে হচ্ছে। যারাই এটা করছে তারা ফ্যাসিস্ট বা তাদের পরামর্শদাতা।’
সাকি বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশী হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত। এই মর্যাদা রক্ষায় যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সেই ঐক্য রক্ষা করে সকল প্রকার বিভেদ দূর করতে হবে এবং ফ্যাসিবাদকে চিরতরে দূর করতে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতান্ত্রিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যে রাষ্ট্রের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও মিলনের মত শহিদরা রক্ত বিসর্জন দিয়েছেন, সেই রাষ্ট্রকে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে আমরা সর্বদা মাঠে রয়েছি ও থাকব।’
গণসংহতি আন্দোলন রংপুর জেলা আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- নগর বিএনপি’র আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, শিক্ষক সিরাজুম মুনিরা, প্রকৌশলী লতিফুর রহমান মিলন ও শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সোহাগ।