বাসস
  ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২০:২৭
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২২:১২

কোন দলের ফাঁদে পা দেবেন না: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আইন উপদেষ্টা

সিরাজগঞ্জ, ১১ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : কোন রাজনৈতিক দলের ফাঁদে পা না দিতে  আহবান জানিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনাদের নিয়ে অনেক দল নানা ধরনের খেলা করছে। এ বিষয়ে সজাগ থাকবেন।’  

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সকল নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে। সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বলতে কিছু নেই। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবার। 
আজ শুক্রবার বিকেলে শারদীয় দুর্গা পুজা উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ শহরের মহাপ্রভুর আখড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। 

ড. আসিফ নজরুল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে ভাববেন না। আপনারা নিজেদেরকে দেশের নাগরিক হিসেবে মনে করবেন। মুসলিম ধর্মের মানুষ যেমন বাংলাদেশের মালিক তেমনি আপনারাও দেশের মালিক। আপনারা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সমান অধিকার, সমান প্রত্যাশা, সমান দৃঢ়তা ও সমান আত্মবিশ্বাস নিয়ে বসবাস করবেন’।   

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সিরাজগঞ্জে নিহতদের স্মরণ ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে আইন উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গঠনে আপনারাও ভুমিকা রাখবেন। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুধু মুসলিম নয়, সকল ধর্মের মানুষই অংশগ্রহণ করেছেন। নতুন বাংলাদেশে ধর্ম পালনের অধিকার সকল ধর্মের মানুষের সমান।  

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জুডিশিয়াল বিভাগে হস্তক্ষেপ করেন না। বিচার বিভাগও নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে কাজ করছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকারী ও হামলাকারীদের জামিন হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী  সরকার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবে। জুলাই-আগষ্টের গণহত্যার তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। গণহত্যার বিচার শুরু হলে অনেক প্রশ্ন এবং দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেটে যাবে।

সনাতন ধর্মের নেতার সত্য নারায়ন সারদারের সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. তোফাজ্জল হোসেন, পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ কুমার কানু, পুজা উদযাপন পরিষদের সদস্য এডভোকেট কল্যাণ সাহা, পুজা উদযাপন কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইন্দ্রজিত সাহা,  থানা বিএনপির সভাপতি ও পুজা উদযাপন কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমর কৃষ্ণ দাস ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইয়াসিন আরাফাত ইশান।