বাসস
  ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১:২৩

১২ বিচারপতির ছুটি নিয়মের মধ্যেই হয়েছে : রিজওয়ানা হাসান

ঢাকা, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : হাইকোর্টের ১২জন বিচারপতিকে অবসরে পাঠানোর বিষয়ে কোন নিয়মের ব্যত্যয় হয়নি বলে উল্লেখ  করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। 

বিচার বিভাগ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বিচার বিভাগের অনেক সিদ্ধান্ত মীমাংসা করা হয়নি। কারণ রাজনৈতিক সরকারগুলো সবসময় তাদের ইচ্ছা মাফিক বিচার বিভাগকে ব্যবহার করতে চেয়েছে। ফলে সেই বিষয়গুলো সেটেল করেনি। তাই সেগুলো সেটেলমেন্টের দায়িত্ব আমাদের কাঁধে এসেছে। প্রধান বিচারপতি বিচারপতিদের নিয়মের মধ্যে ছুটি দিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পরে সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সুপ্রিম জুড়িশিয়াল কাউন্সিল গঠনের বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিচারপতিদের অপসারণ কে করতে পারবেন তা নিয়ে দেশে অনেক রাজনীতি হয়েছে। একদিকে মুখে বিচার বিভাগ স্বাধীনের কথা বলা হয়েছে, অন্যদিকে বিচারবিভাগ যেন রাজনৈতিক সরকারের অবস্থান থেকে একচুলও না নড়তে পারে সেই লক্ষ্যে পুরো ক্ষমতাটাই সংসদকে দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব যে মামলাটা ঝুলে আছে, বন্ধের পর পর যেন সুরাহা হয়ে যায়। যার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়োগ পাওয়া বিচারকেরা থাকতে পারবেন কি-না, তা সমাধানের দিকে যাওয়া যাবে। তবে সেটা নিয়ম মেনে করা হবে। 

যানজট নিরসনের সরকারের উদ্যোগ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে বলে জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করতে পারি কিনা, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কারণ অপেক্ষা করা, সময়ে দেওয়ার সীমা আছে। আবার জনগণের ভোগান্তিটা নিরসন করতে হবে। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থায় যুক্ত করার সুযোগ আছে। 
শিক্ষক আন্দোলন প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, যারাই আন্দোলন করছে তাদের মুখপাত্র আছে। কোন আন্দোলনকারীর জন্য সরকার দরজা বন্ধ করেনি। তারা যদি মনে করে রাস্তায় আন্দোলন না করে সরকারের সঙ্গে বসে আলোচনা করবেন। আন্দোলনকারীদের জন্য দরজা খোলা আছে। 

উপদেষ্টা বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পক্ষ থেকে আট দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সরকার সে দাবিগুলো বিবেচনায় নিচ্ছে। আমরা তাদের আশস্ত করতে চাই নতুন বাংলাদেশে ধর্মীয় পরিচয়ে, সংখ্যালঘু পরিচয়ে কারও অনিরাপদবোধ করার কারণ নেই। 

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কি-না— এমন প্রশ্নের উত্তরে রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিচারের প্রয়োজনে আমাদের আনতে হলে সেই উদ্যোগ গ্রহণ করব। যেহেতু ট্রাইবুনাল থেকে নির্দেশনা এসেছে, তাই বিচারের প্রয়োজন হয়েছে। সরকার নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে।