বাসস
  ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:০১

জয়পুরহাটে ডিমসহ সবজির দাম কমতে শুরু করেছে

জয়পুরহাট, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস): জেলার হাট-বাজারগুলোতে ডিমসহ অন্যান্য সবজির দাম কেজিতে প্রায় ৮ থেকে ১০টাকা কমেছে।
আজ শনিবার সকালে জেলার পাইকারী সবজির বাজার নতুনহাট ঘুরে কৃষক ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫৪ টাকা হালির ডিম চার টাকা কমে এখন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৪০০ টাকা কেজির কাচাঁ মরিচ ৩০০ টাকা, ১২০ টাকা কেজি ফুলকপি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ১০০ টাকা কেজির বেগুণ ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ৭০ টাকা কেজির পটল ৫০-৬০ টাকা, ৯০ টাকা কেজির করলা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সদর উপজেলার বুধইল গ্রামের পটল চাষি ফজলুর রহমান জানান, ৫০ কেজি পটল নিয়ে বাজারে আসেন। ১৫ কাঠা জমিতে এবার পটল চাষ করেছেন। এখন ১৭শ টাকা মণ বিক্রি করে খুশি হতে পারলেও আগে ৪/৫ শ টাকা মণ বিক্রি করতে হয়েছে। খুচরা বাজারে ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বিষ্ণুপুর গ্রামের কৃষক সুমন জানান, ২০ শতাংশ জমিতে এবার পটল চাষ করেছেন। বর্তমান বাজার দরে খুশি বলে জানান তিনি। বিল্লাহ গ্রামের করলা চাষি মজনুর রহমান জানান, করলা ৬০ টাকা কেজি পাইকারী বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। বিষ্ণুপুর গ্রামের মুলা চাষি রেজাউল করিম জানান, ২৬ কেজি মুলা নিয়ে বাজারে আসেন ৪০ টাকা কেজি পাইকারী বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। তিনি এবার ৫ কাঠা জমিতে মুলার চাষ করেছেন বলে জানান । বেগুন চাষি বটতলী বাজার তালশন গ্রামের কফিল উদ্দিন জানান, ২৬০০ টাকা মণ বেগুন হিসেবে ৬৫ টাকা কেজি পাইকারী বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি।
পাহাড়পুর গ্রামের পেঁপে চাষি খায়রুল ইসলাম জানান, এবার এক বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেন। পাইকারি কেজি প্রতি সাড়ে ১৭ টাকা বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা কেজি। কোচকুড়ি গ্রামের ঝিঙা বা তরই চাষি মুকুল জানান, ৩২ টাকা কেজি পাইকারী বিক্রি হলেও খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। লাউ চাষি কবির জানান, প্রতি পিচ লাউ ৪০ টাকা পাইকারী বিক্রি হলেও খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। এ ছাড়াও বাজারে পাকরী আলু বিক্রি হচ্ছে ১৯০০/২০০০ টাকা মণ, কাঁচা কলা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকা হালি খুচরা ৩০ টাকা। পেঁয়াজ দেশি ১১৫-১২০ টাকা কেজি ও ইন্ডিয়ান পেয়াঁজ ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা যায়।
সবজি বাজার নতুনহাটের পাইকারী ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, সবজির কিনে তারা ট্রাকে করে রাজধানীর বিভিন্ন আড়তে পাঠান। সবজির দাম কমতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। অপর পাইকারি ক্রেতা শাহিনুর ও শফি জানান, নতুনহাট থেকে সবজি পাইকারী কিনে ঢাকা যাত্রা বাড়ি, গাউসিয়া বাজারে পাঠিয়ে থাকেন ।