বাসস
  ২২ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৩৫
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৩৯

সিলেটে নতুন গ্যাসের সন্ধান : দিনে ৭-৮ মিলিয়ন ঘনফুট যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে

ফাইল ছবি


সিলেট, ২২ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস): সিলেট গ্যাস ফিল্ডে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপে এখন থেকে দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) এ কথা জানিয়েছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, আজ মঙ্গলবার ৭ নম্বর কূপের একটি স্থানের ১ হাজার ২০০ মিটার গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ থেকে দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। 
এর আগে, গত ১৪ আগস্ট ৭ নম্বর কূপের আরেকটি স্থানে ২ হাজার ১০ মিটার গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়, এই কূপে দৈনিক ৬ থেকে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ পাওয়া যাবে।
মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের অন্যান্য কূপ থেকে পাওয়া দৈনিক ৬০-৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। ৭ নম্বর কূপ থেকে পাওয়া গ্যাস শিগগিরই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
এর আগে চলতি বছরের ২৪ মে খনন কাজ শেষে সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের ৮ নম্বর কূপের ৩ হাজার ৪৪০ থেকে ৫৫ হাজার ফুট গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়, এটি থেকে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ পাওয়ার যায়। 
এসজিএফএল সূত্রে জানা যায়, প্রাকৃতিক সম্পদের সমৃদ্ধ আধার হিসেবে পরিচিত সিলেটে গত বছর থেকেই কূপ অনুসন্ধান ও খননের কাজ চলমান রেখেছে সিলেট গ্যাসফিল্ড কর্তৃপক্ষ। তারই অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের প্রথম দিকে কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপে খনন কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকা খরচে এই কূপ খনন করা হয়।
জানা যায়, সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের উৎপাদনে থাকা কূপগুলো থেকে এখন প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। চলতি বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে তারা সেই উৎপাদনকে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিয়ে যেতে চায়। আর সরকারের বেধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে সকল কাজ শেষ করতে পারলে শুধুমাত্র এই কোম্পানি থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে হবে। 
এরআগে গত ২৭ জানুয়ারি সিলেট গ্যাস ফিল্ডের আওতাধীন রশিদপুরের ২ নং কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান মেলে। যার পরিমাণ প্রায় ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট।
তারও আগে গতবছরের ২৬ নভেম্বর দেশের সবচেয়ে পুরানো গ্যাসক্ষেত্র হরিপুরের ১০ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান মেলে। খনন কাজ শেষে ওইদিন গ্যাস প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)।
আর ২২ নভেম্বর সিলেটের কৈলাশটিলায় পরিত্যক্ত ২ নং কুপ থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এখান থেকে দৈনিক ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।
সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৫৫ সালে। এরপর আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। বর্তমানে এসজিএফএল-এর আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। সেগুলো হলো- হরিপুর গ্যাসফিল্ড, রশীদপুর গ্যাসফিল্ড, ছাতক গ্যাসফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাসফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর মধ্যে ১৪টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
২০২২ সালে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতাধীন সিলেট-৮, কৈলাশটিলা-৭ ও বিয়ানীবাজার-১ নামে তিনটি পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখনন করা হয়। এসব কূপ থেকে দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে।