শিরোনাম
ঢাকা, ২৪ অক্টোবর, তুরস্কের মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা কোম্পানির (টিইউএসএএস) সদর দপ্ততরে হামলায় ৫জন নিহত ও ২২ জন আহত হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার রাজধানী আঙ্কারায় অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, সিরিয়া ও ইরাকের কুর্দি জঙ্গিদের দায়ী করে একই দিন পাল্টা হামলা চালিয়েছে তুরস্ক । তুর্কি সরকার দাবি করেছে, ‘সম্ভবত’ নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টি (পিকেকে) এই হামলা চালিয়েছে। হামলায় ৫ জন নিহত এবং অপর ২২ জন আহত হয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান হতাহতের এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। এরদোয়ান বর্তমানে রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকস সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষ্যে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। তিনি এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের পর হামলায় রাজধানী আঙ্কারার প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত তুরস্কের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ‘তার্কিস অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্টির’ সদর দপ্তরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে পুরো এলাকাটি কেঁপে ওঠে।
এদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার কয়েক ঘন্টা পর পরই ‘উত্তর ইরাক ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়।’
মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, ‘সন্ত্রাসীদের ৩২টি স্থাপনা সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।’
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া জানিয়েছেন, বিমান হামলায় দুই হামলাকারী নিহত এবং আহতদের সংখ্যা না জানা গেলেও তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। সম্প্রচার মাধ্যমে ঘটনার আগে ‘টিইউএসএএস’ ভবনে সশস্ত্র হামলাকারীদের প্রবেশের ভিডিও প্রচার করেছে।
হামলার কারণ ও হামলাকারীদের পরিচয় এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তুরস্কের সরকারি বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, এই ঘটনায় প্রসিকিউটররা তদন্ত শুরু করেছেন।
কিছু সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, এটি একটি আত্মঘাতী হামলা হতে পারে। যদিও কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেননি।
‘টিইউএসএএস’ তুরস্কের সবচেয়ে বড় বিমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে প্রশিক্ষণ বিমান, সামরিক ও বেসামরিক হেলিকপ্টার তৈরি করছে। দেশটির প্রথম নিজস্ব যুদ্ধবিমানের উন্নয়নে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী ফাউন্ডেশন ও সরকারি মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠানটিতে ১০হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে।