বাসস
  ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ২১:৪৯

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে রিজওয়ানা হাসান : রাজনৈতিকদলের সঙ্গে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে

ঢাকা, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের বিষয় নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এখন একটা দাবি হচ্ছে যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করতে হবে। বিষয়টা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আশা করি ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটা সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছাতে পারব।

বৃহস্পতিবার তেজগাঁও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, ‘এটি একটি রাজনৈতিক বিষয়। আমাদের সরকার গণঅভ্যুত্থানের ফসল। তাই প্রত্যেকটা বিষয় সংবিধানের আলোকে হবে কি না তা দেখার বিষয়। কতদিন সময় লাগবে তা বলা যাচ্ছে না। এটি রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করবে।’

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি কী বলেছেন সেটাও আমাদের নজরে আনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে একটা আন্দোলন হচ্ছে, পদত্যাগের যে দাবি উঠেছে সেটাও বিবেচিত হচ্ছে। একটি রাজনৈতিকদল থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের কারণে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে এমন কথা বলা হয়েছে। তাদের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলছেন, সাংবিধানিক সংকট হবে না। এ সকল বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।

উপদেষ্টা বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে দাবি উঠেছে এবং দাবিটা ক্রমান্বয়ে জোরালো হচ্ছে। এটি গণদাবিতে রূপ নিচ্ছে বলে বিবেচিত হচ্ছে। তাই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে রাজনৈতিকদলগুলোকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হবে না। আবার তাড়াহুড়া করা হবে না। শিগগিরই নেওয়া হবে।

উপদেষ্টা জানান, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর করার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘একই ব্যক্তি বারবার পরীক্ষা দিলে সবাই সুযোগ নাও পেতে পারেন। সেসব বিষয় বিবেচনা করে সর্বোচ্চ তিনবার বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। অবসরের সময়সীমা নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ৩২ বছর বিষয়টি চূড়ান্ত। এটি আর পরিবর্তনের সুযোগ নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।