শিরোনাম
ঢাকা, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিলেই মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ইতিহাস থেকে মুছে যাবেন না। তাঁকে বাদ দিয়ে আমাদের মুক্তি সংগ্রামের সঠিক ইতিহাস রচিত হবে না।
তিনি বলেন, ‘মওলানা ভাসানী আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা। তাঁর জীবনী পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার যে অন্যায় করেছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই।’
ইতিহাসে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে কাউকে খাটো করা যায় না; ইতিহাস তার আপন গতিতে চলে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘মওলানা ভাসানী তাঁর মানবতাবাদী কর্মের মাধ্যমে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি আমাদের ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ। তাঁকে সম্মান জানালে আমরা জাতি হিসেবে গর্বিত হবো।’
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে ৫ম ও ৮ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর জীবনী প্রত্যাহারের প্রতিবাদ জানিয়ে তা বর্তমান প্রেক্ষাপটে ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে পুনরায় অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুজ্জামান হীরার সঞ্চালনায় গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল বিশ্বাস, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, সাবেক কমিশনার ফরিদ উদ্দিন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট মো. আলী, জামিল আহমেদ, যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হাবিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, মোশারফ হোসেন, নারী নেত্রী সোনিয়া আক্তার, কৃষক পরিষদের আহ্বায়ক হাজী মাসুদ, যুব পরিষদের আব্দুল আজিজ ও বংশাল থানা সভাপতি ইমরুল হাসান অসীম।
আমাদের জাতীয় ইতিহাসে মওলানা ভাসানীর গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তারা বলেন, মওলানা ভাসানী আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তি-সংগ্রাম এবং অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে, তিনি থাকবেন এদেশের মেহনতি মানুষের অন্তরে চিরঅম্লান।
তারা বলেন, ইতিহাস সবার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেই ইতিহাস থেকে কাউকে মুছে ফেলা যাবে না। মুক্তিকামী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ২০২৫ সালের নতুন পাঠ্যপুস্তকে মওলানা ভাসানীর জীবনী অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানান।