শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : জাতিসংঘের (ইউএন) মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক আজ বাংলাদেশে সম্প্রতি ও অতীতে সংঘটিত সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার এবং পর্যাপ্ত ব্যবস্থার মাধ্যমে মানবাধিকার বিষয়গুলো মোকাবেলা করার একটি বড় সুযোগ এসেছে।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে মানবাধিকারের ভিত্তিতে কার্যকরী করতে হবে উল্লেখ করে, তুর্ক বলেন, ‘সাংবাদিক, সমাজকর্মী এবং অন্যান্য অধিকার কর্মীদের অবাধে এবং মসৃণভাবে কাজ করতে দেওয়ার জন্য একটি উন্মুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন।’
ঢাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বকর মজুমদার, জাতিসংঘের কর্মকর্তা, ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়কারী এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ফলকার তুর্ক বলেন, ‘বাংলাদেশী তরুণদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ আমাদের অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা এই যুবকদের সাথে থাকতে এবং তাদের যাত্রায় তাদের সমর্থন করতে প্রস্তুত। তথ্য অনুসন্ধান বা ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের মাধ্যমে তরুণদের সঙ্গে ইতোমধ্যে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে।’
জাতিসংঘের অধিকার প্রধান প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, নাগরিক অধিকার পুনরুদ্ধার এবং মানবাধিকারের আলোকে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
জুলাই হত্যাকান্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে উল্লেখ করে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ বলেন, ‘কমিটি অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং টিমকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে যেতে চাই।
মতবিনিময় সভায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান।
এর আগে, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান জুলাই-আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের সময় তরুণ চিত্রশিল্পীদের আঁকা গ্রাফিতি দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন।