শিরোনাম
ঢাকা, ৯ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আলেম সমাজ সামাজিক শক্তির প্রতিভূ। তাদের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা ও সামাজের প্রগাঢ় বন্ধন রয়েছে।
আজ শনিবার খুলনা ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিভাগীয় কার্যালয়ে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক সমস্যা নিরসনে ওলামা মশায়েখদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইমাম-খতিবদের মানুষ সম্মান করে। তারা জুমার খুতবা ও ওয়াজ-নসিহতের মাধ্যমে মানুষের উত্তম চারিত্রিক গুণাবলি বিকাশে মেহনত করে যাচ্ছেন। ঠিক একইভাবে মানুষের চরিত্রের নেতিবাচক দিকগুলো থেকে বিরত রাখার ক্ষেত্রেও ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। সমাজে যে সব ব্যাধি রয়েছে সেগুলো নিরসনেও আলেম-ওলামাদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, আলেম-ওলামাদের মেহনতের কারণেই বাংলাদেশে ইসলামের অনুকূল আবহ তৈরি হয়েছে। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায়ও মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে।
উপদেষ্টা ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানজনক বেতন কাঠামো নির্ধারনে উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদকে বিশ্বের অন্যান্য আইকনিক মসজিদের মতো সুন্দর, দৃষ্টিনন্দন ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ মসজিদে রূপান্তরিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ড. খালিদ বলেন, সরকার অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতিতে দেশের দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা ধীরে-ধীরে অগ্রগতির পথে ধাবিত হচ্ছি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। যদি জাতিতে জাতিতে কিংবা ধর্মে-ধর্মে হানাহানি হয় তাহলে জাতীয় অগ্রগতি ও উন্নয়ন ব্যাহত হবে। এ কারণে সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ওলামা-কেরামদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যের দেশ। এদেশে নানা জাতি-গোষ্ঠী ও ধর্মের লোক বসবাস করে। এটাই বাংলাদেশের বৈচিত্র। আমাদের সংবিধানেও প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সমান। সরকার সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যের এই ঐতিহ্যকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখে, এটাকে লালন করে আসছে এবং আগামীদিনেও লালন করে যাবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, কিছু দুর্বৃত্ত বা কায়েমী স্বার্থবাদী মহল মাঝে-মাঝে এই সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যকে বিনষ্ট করার পায়তারা চালিয়ে থাকে। এ সকল দুর্বৃত্তদেরকে সরকার প্রতিহত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উপদেষ্টা বলেন, সরকার তিনমাস হলো দায়িত্ব নিয়েছে। অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীদিনে বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত হবে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ইউসুপ আলী সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, স্থানীয় সরকারের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক মো. তবিবুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় পরিচালক মুহাম্মদ জালাল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। মতবিনিময় সভায় ৩ শতাধিক স্থানীয় আলেম-ওলামা অংশগ্রহণ করেন।