বাসস
  ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:২৩

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ফ্রান্সের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্র সচিবের

ঢাকা, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস): পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন রোহিঙ্গা সংকটের প্রধান কারণগুলোর উপর গুরুত্ব দিয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুটির একটি টেকসই সমাধানে ফ্রান্স সরকারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে বার্মায় (মিয়ানমার) নিযুক্ত ফ্রান্সের বিশেষ দূত ক্রিশ্চিয়ান লেচারভি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার সাথে দেখা করতে এলে তিনি এ সমর্থন কামনা করেন। 
আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের এই নাগরিকদের (এফডিএমএন) তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বাংলাদেশের হতাশা প্রকাশ করে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

তিনি মিয়ানমারে, বিশেষ করে রাখাইন রাজ্যে চলমান সশস্ত্র সংঘাতের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সংঘাত শুরু হওয়ার সাথে সাথে নতুন করে মিয়ানমারের নাগরিকদের বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে এ দেশের জন্য বিরাট বোঝা হিসেবে উল্লেখ করে মো. জসিম উদ্দিন আন্তর্জাতিক অংশীদার ও দাতাদের কাছ থেকে মানবিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এ সহায়তা হ্রাস পেলে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী উভয়ের চ্যালেঞ্জগুলো আরও বাড়তে পারে।

এ সময় পররাষ্ট্র সচিব রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক আহ্বানের কথাও উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত লেচেরভি রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি বাংলাদেশের চলমান মানবিক সহায়তার জন্য ফ্রান্সের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এ ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য ফ্রান্সের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি সীমান্ত জুড়ে, বিশেষ করে রাখাইন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত মোকাবিলার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। পাশাপাশি মিয়ানমারে রাজনৈতিক সংলাপ এবং এই ধরনের সংলাপে রোহিঙ্গা ইস্যুকে অন্তর্ভুক্ত করার ওপর জোর দেন।

রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের চাহিদা ও অবস্থা মূল্যায়ন করার জন্য নতুন আগতদের প্রকৃত সংখ্যা জানার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন।

উভয় পক্ষের মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট ও মিয়ানমারে সশস্ত্র সংঘাতের জটিলতা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের ভূমিকা এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য জবাবদিহিতার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।