শিরোনাম
ঢাকা, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : জলবায়ু সুবিচারের জন্য তৃণমূল নেতৃত্ব-ভিত্তিক যুব সংগঠন ইয়ুথনেট গ্লোবাল কপ২৯ সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়নে কোনো বাস্তব অগ্রগতি না হওয়ার জন্য গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
ইয়ুথনেট গ্লোবাল ও কপ২৯-এ অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের জলবায়ুকর্মী সোহানুর রহমানের ফেইসবুক পোস্টে বলা হয়, ইয়ুথনেট নতুন প্রস্তাবিত ২৫০ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক জলবায়ু অর্থায়ন লক্ষ্যকে ‘অত্যন্ত অপর্যাপ্ত’ ও ‘ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রসমূহের জন্য অপমানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, কপ২৯ প্রেসিডেন্সির সদ্য প্রকাশিত টেক্সট অনুযায়ী, ২০৩৫ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়নের বার্ষিক লক্ষ্য ২৫০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে, ইয়ুথনেট গ্লোবাল মনে করে, এই লক্ষ্য ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রয়োজনীয় ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বার্ষিক অর্থায়নের তুলনায় অনেক কম।
সোহানুর রহমান বলেন, ‘বছরে ২৫০ বিলিয়ন ডলারের এই প্রস্তাব ক্ষতিগ্রস্ত ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মানুষের জন্য এক ধরনের চড় মারার মতো! বাংলাদেশসহ যেসব দেশ ইতিমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অনুভব করছে, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত অসম্মানজনক।’
তিনি আরও জানান, বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এমডিবি)-এর মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল জলবায়ু বিপর্যয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সরাসরি সাহায্য প্রাপ্তিতে সহায়ক নয়। সোহানুর রহমান ক্ষতিপূরণ (লস অ্যান্ড ড্যামেজ) অর্থায়নের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না থাকারও সমালোচনা করেন।
এছাড়া, প্রস্তাবিত নতুন টেক্সট অনুযায়ী, উন্নত দেশ ও উন্নয়নশীল দেশ উভয়ের অবদান থাকবে এবং এর মধ্যে ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা’ অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা তার যথার্থ এবং পর্যাপ্ততার বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অর্থায়ন, বিশেষত তাদের জাতীয় সংকল্প (এনডিসি) বাস্তবায়নের জন্য, অনুদান এবং শর্তহীন তহবিল হতে হবে।
এ বিষয়ে সোহানুর রহমান বলেন, ‘এমনকি অ্যাডাপটেশন গ্যাপ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে অভিযোজনের জন্য ৪০০ বিলিয়ন ডলারের ফাঁক রয়েছে। সুতরাং,এই নতুন লক্ষ্য সেই ঘাটতি বা সীমাবদ্ধতা পূরণেও সক্ষম নয়।’
কপ২৯-এর আলোচনা আজারবাইজানের বাকুতে চলমান থাকলেও ইয়ুথনেট গ্লোবাল তাদের দাবিতে অবিচল থাকার ঘোষণা দিয়েছে। তারা গ্লোবাল সাউথের জন্য ন্যায্য এবং কার্যকরী জলবায়ু অর্থায়ন কাঠামো প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘বিশ্বের জলবায়ু সংকটের বাস্তবতা উপলব্ধি করে,সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দেশগুলোর সহায়তার জন্য একটি কার্যকরী এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ কাঠামো প্রয়োজন।’