শিরোনাম
সিলেট, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস): বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের সকল নির্বাচন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে যদি আমরা চলমান রাখতে পারি তবেই দেশকে আমরা সামনে এগিয়ে নিতে পারবো। তাহলেই আমরা দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে পারবো।
আজ মঙ্গলবার সিলেটে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক দিনব্যাপী তৃতীয় বিভাগীয় কর্মশালা ২০২৪-এ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বৈরাচার পালালেও দেশে এখনও তাদের ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে কিন্তু তার দোসর রয়ে গেছে। সবাইকে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সকল দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এটির মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই আছে। আরো যত প্রস্তাব আসবে তা যুক্তি সংগত হলে যুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, আজকে বিভাগীয় পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে আলোচনার পর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লেখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। তাই ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।
তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বিভিন্ন ভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশী মানুষ শহিদ হয়েছেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে। এজন্য যেকোন মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখব।
সিলেট নগরীর জেলা শিল্পকলা অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে বিএনপি’র বিভাগীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জি কে গউছের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী সহ কয়েকজন নেতার ৩১ দফা কর্মসূচির উপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আর্লি, সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।
এছাড়াও কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদি লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।