শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আজ বলেছেন, গত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংকিং ও জ্বালানি খাতে বড় ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেছে।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় জানান, কমিটি রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে আর্থিক খাতের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার কথা রয়েছে। আজ ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও উন্মুক্ত বাজেট সমীক্ষা ২০২৩ ফল লঞ্চিং’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ এ মন্তব্য করেন।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড), ইন্টারন্যাশনাল বাজেট পার্টনারশিপ (আইবিপি) ও ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানটিতে ড.দেবপ্রিয় বলেন, ব্যাংকিং ও জ্বালানি খাতে লুটপাট বেশি হয়েছে। প্রতিবেদনে এগুলো তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য সরকার যে কমিটি গঠন করেছে, তাকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের কাজ শেষ হয়েছে। আমরা প্রচুর তথ্য পেয়েছি। সম্পাদনার কাজ চলছে। আশা করছি, আগামী রোববার আমরা এটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করব।’
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের মাধ্যমে অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনতে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির মাধ্যমে যে সম্পদ সৃষ্টি হয়েছে- তা যদি আমরা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে না পারি, তাহলে আমরা এটা কী ধরনের বিপ্লব করলাম?’
তিনি বলেন, আর্থিক খাতের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি সচিব, ব্যবসায়ী, নাগরিক এবং ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট অংশিজনদের সঙ্গে তিন মাস ধরে বিস্তারিত আলোচনা, পর্যালোচনা, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই শেষে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
এর আগে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ২৮ আগস্ট ১২ সদস্যের একটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। এটি খাতভিত্তিক পরিস্থিতির পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আবু ইউসুফ, র্যাপিড-এর চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক, প্রথম আলো অনলাইনের প্রধান শওকত হোসেন মাসুম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আনারুল কবির, ইআরএফ-এর সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মির্ধা ও ইআরএফ-এর সচিব আবুল কাশেম প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।