শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : ভূমি উপদেষ্টা এ.এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার কোন রুটিন সরকার নয়। এটা ছাত্র-জনতার মাধ্যমে গঠিত সরকার। দেশের প্রশাসন থেকে শুরু করে সবকিছু চালিয়ে নেয়ার জন্য ছাত্ররা আমাদের উপর একটি দায়িত্ব দিয়েছেন। এ দায়িত্ব পালনে আমরা বদ্ধপরিকর। কেউ দেশের মানুষের মাঝে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।
চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এই কারণে যে, আইনজীবী শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করে একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। আপনারা আবেগকে ধরে রেখে তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেননি।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণভ্যূত্থান এর শহীদ পরিবার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং ভূমি উপদেষ্টা এ.এফ.হাসান আরিফ এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্যে ভূমি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
এ. এফ. হাসান আরিফ বলেন, একটি সরকার যখন বিপ্লবের মধ্যদিয়ে অপসারিত হয়, তারা কিন্তু সহজে ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। এটার প্রমাণ আমরা ইতোমধ্যে দেখতে পাচ্ছি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তারা তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে সবার মাঝে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
মতবিনিময় সভায় শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রকারীদের কোন স্থান নেই। এদেশ অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার ফলে তৈরি হয়েছে। আজকে মানুষ স্বৈরাচারী সরকারকে পতন করে নতুন দেশের সূচনা করেছে। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে, যেটা কোন মতেই হতে দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই, ফ্যাসিবাদের পতন হয়ে গেছে ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করবেন না, আমরা কঠোর হাতে দমন করব। শহীদ পরিবার ও আহতদের সাথে নিয়ে বাংলাদেশ সংস্কারের কাজ যাতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি এবং সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারি সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব হামিদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান, অতিরিক্ত ডিআইজি এস এম মোস্তাইন হোসেন, মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ এরশাদুল্লাহ, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ আহমেদ সাকিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শহীদ পরিবারের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।