শিরোনাম
ঢাকা, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত গণহত্যাসহ গত ১৬ বছরে বিভিন্ন সময়ে হওয়া গুমের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকায় র্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তা বর্তমানে রাঙ্গামাটি ট্রেনিং সেন্টারের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী ও বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে গ্রেফতার (শোন এরেস্ট) দেখানো হয়েছে।
আজ দুপুরে তাদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত এই আদেশ দেন।
পাশাপাশি, তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত।
শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রাঙ্গনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জি এম এইচ তামিম এ বিষয়ে গণমাধ্যম কে জানান, "ফারুকী এবং আলেপ অর্ধশতাধিক গুমের অভিযোগে অভিযুক্ত। আজ সুস্পষ্ট প্রমাণ দাখিল করে আদালতের কাছে তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হলে আদালত নিজ সন্তুষ্টির ভিত্তিতে আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।"
এ সময় তিনি আলেপ উদ্দিনকে গুমের ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, "অভিযোগকারীদের বেশির ভাগই গুমের শিকার হওয়া মানুষ। এর মধ্যে একজন ভুক্তভোগী চার মাস গুম ছিলেন, সেখানে তিনি অকথ্য নির্যাতনের শিকার হন। এমনকি ফিরে আসার পরে তাকে সাত বছর জেল ও খাটানো হয়।"
এর আগে বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর শনির আখড়ায় জোবায়ের ওমর খানের মৃত্যুতে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারকৃত মহিউদ্দিন ফারুকী ও আলেপ উদ্দিনকে ট্রাইবুনালে আদালতে হাজিরা ও গ্রেফতার দেখানোর জন্য শুনানি শেষে আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।