বাসস
  ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৫

কেইপিজেডে ভূমি নিবন্ধন দ্রুত ও সহজে করার সিদ্ধান্ত

ঢাকা, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) পরিচালনা পর্ষদ ভূমি নিবন্ধন প্রক্রিয়া দ্রুততর করা এবং বন্ড লাইসেন্সিং পদ্ধতি সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিল্প পার্কটিকে বিদেশি বিনিয়োগের একটি কেন্দ্রে পরিণত করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার ঢাকায় তেজগাঁও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কেইপিজেড পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত নয় বছরের মধ্যে এটি ছিল সরকার প্রধানের সভাপতিত্বে পরিচালিত কেইপিজেড পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বৈঠক।

বৈঠকে ভূমি অধিগ্রহণ, বন্দর ও কাস্টমস, শ্রম আইন এবং বিনিয়োগকারী সহায়তা ব্যবস্থাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

কমিটি দ্রুততম সময়ে কেইপিজেডকে বাকি ভূমি হস্তান্তর সম্পন্ন করা, অনুমোদিত অর্থনৈতিক অপারেটর মডেল চালু করা, বন্ড লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সহজ করা এবং শ্রম আইন সংক্রান্ত আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ার মতো নির্বাহী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। 

কমিটি সর্বসম্মতভাবে প্রশাসনিক ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ এবং দ্রুত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কেইপিজেডকে সরাসরি সিএও’র প্রশাসন থেকে সরিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) আওতায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই পদক্ষেপগুলো বিনিয়োগকারীরাদের কাছে বাংলাদেশে ব্যবসায় সম্ভাবনার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।

বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘আমাদের বর্তমান বিনিয়োগকারীদের সমর্থন করতে হবে যাতে তারা আমাদের দূত হয়ে উঠতে পারে।

একটি পরীক্ষামূলক উদাহরণ হিসেবে, বিডায় একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে, যা কেইপিজেডের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধান করবে'।

আমরা উদাহরণ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলাম। আর আজকের সফল বৈঠক প্রমাণ করে সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে,’ তিনি বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘আজকের সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে নতুন ধরনের সরকার পরিচালনার উদাহরণ, যা সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য এবং কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আমরা আশা করি যে একটি দ্রুত সংস্কার ব্যবস্থা অনেক বিনিয়োগ সমস্যাকে অচিরেই অপ্রাসঙ্গিক করে তুলবে।’

ইয়ংওয়ান কর্পোরেশনের মাধ্যমে পরিচালিত কেইপিজেডে বর্তমানে ৪৮টি আধুনিক শিল্প ইউনিটে ৩৪,০০০-এর বেশি বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হয়েছে। ২,৫০০ একর এলাকায় ৫২ শতাংশ সবুজ জায়গা সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।