শিরোনাম
ঢাকা, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার দুই বছরের মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে পারে। যেটি সংশোধনযোগ্য হবে এবং প্রয়োজনে এর মেয়াদও বাড়ানো যাবে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)’র প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ অভিমত তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদার, ঋণদাতা এবং অংশীজনের আস্থা বজায় রাখার মূলনীতির ধারাবাহিকতা, পূর্বাভাস ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো (এমটিবিএফ) প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে।
কমিটির প্রধান ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)’র বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে ৩৯৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ফলাফল প্রকাশ করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২০-২০২৫) স্থগিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ পরিকল্পনার মেয়াদে লক্ষ্য নির্ধারণের একটি স্বাধীন ও বাস্তব মূল্যায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যেহেতু অন্তর্র্বর্তী সরকারের মেয়াদ সীমিত হবে, সেহেতু একটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত নাও হতে পারে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাজেটের পূর্বাভাসযোগ্যতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অর্থ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা (২-৩ বছর) প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে মধ্য-মেয়াদি কৌশলটি উন্নয়ন-সংক্রন্ত একটি রোডম্যাপ প্রদান করবে যা সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নমনীয়তা বজায় রেখে জাতীয় অগ্রাধিকারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে।
এটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা জোরদারের পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন, সামাজিক খাতে বিনিয়োগ এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বসহ মূল ক্ষেত্রগুলোতে বিদেশি সহায়তা বরাদ্দের নিশ্চয়তা দেবে।
আন্তর্জাতিক সহায়তার নিরিখে অভ্যন্তরীণ অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হলে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি তরান্বিত হওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব ও অগ্রগতির শক্ত ভিতও তৈরি হবে।