বাসস
  ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১০

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপতথ্য প্রতিরোধে বন্ধু রাষ্ট্রসমূহের সহযোগিতা চান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাকা, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বা অপতথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে চলমান লড়াইয়ে জাপানসহ বন্ধু রাষ্ট্রসমূহের সহযোগিতা চেয়েছেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি আজ সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে উপদেষ্টা এ সহায়তা চান।

এ সময় উভয়েই ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ কাঠামোর অধীনে দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। 

বাংলাদেশে সফলভাবে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ সম্পন্ন করায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জাপানের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা বাড়াতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান। 

তিনি বাংলাদেশের বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্পে, বিশেষ করে অবকাঠামো ও সামাজিক খাতে উল্লেখযোগ্য অবদানের মাধ্যমে জাপানের অবিচল সমর্থনের কথাও স্বীকার করেন। 

এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত ঢাকায় তার মেয়াদকালে যে সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছেন তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি পারস্পরিক সুবিধা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ-জাপান অংশীদারিত্ব জোরদার করতে তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
 
বাংলাদেশ ও জাপান অব্যাহত সহায়তা ও সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে অবদান রাখবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে চলমান ইপিএ আলোচনার বর্তমান অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নয়নে এটি অবদান রাখবে।

তিনি কৌশলগত সমস্যাগুলোর পাশাপাশি শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়গুলোকে ব্যাপকভাবে মোকাবেলা করার জন্য পররাষ্ট্র দফতরের পরামর্শের নিয়মিত আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

তিনি ভবিষ্যতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অর্থনৈতিক সংলাপের ওপর জোর দেন। 

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশে জাপান-অর্থায়নকৃত প্রকল্পের গুণমানের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় অব্যাহত সমর্থন আশা করেন।

তিনি বাংলাদেশের শিবিরে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য অব্যাহত মানবিক সহায়তার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান এবং মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য জাপানের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।