বাসস
  ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৪১

নেতৃত্ব শূন্যতায় সিরিয়াতে আইএস জিহাদিদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি 

ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বাশার আল আসাদের পতনে সিরিয়াতে সম্ভাব্য এলাকা দাবি করে এবং কুর্দি নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে তাদের সহযোদ্ধাদের মুক্ত করে ইসলামিক স্টেট জিহাদিদের অবশিষ্টাংশ নতুন জীবন পেতে পারে।  

সচরাচর ব্যর্থ রাষ্ট্রগুলোর ভুখন্ডে যুদ্ধ এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে আইএসের বিকাশ লাভ করে থাকে। আইএস যোদ্ধারা এখন পূর্ব সিরিয়ার মরুভূমিতে ছোট ছোট দলে অবস্থান করছে। আসাদের পতন আইএস যোদ্ধাদের টিকে থাকাকে তরাম্বিত করবে।  

অর্ধ শতাব্দীর রক্তাক্ত পারিবারিক শাসন এবং তের বছরের গৃহযুদ্ধ পরবর্তী ক্ষমতার পালাবদল এই বিচ্ছিন্ন ইসলামিক জিহাদিদের জন্য সিরিয়াতে সুবিধা বয়ে আনবে। বিশৃংখলা এবং নৈরাজ্য আইএসের জন্য হবে আশির্বাদ। আর এই বিশৃংখলা ও নৈরাজ্য সেখানে বিরাজ করছে। আইএস যোদ্ধারা ধীরে ধীরে আবারো সারাদেশে তাদের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে, বলছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক সোফান সেন্টারের গবেষক কলিন ক্লার্ক। 

আইএসের অফিসিয়াল সাপ্তাহিক আল নাবা তাদের শেষ ভার্সনে লিখেছে যে যতক্ষণ না তারা দামেস্কের ক্ষমতা নিজেরা নিচ্ছে ততদিন তারা নতুন সরকারকে মেনে নেবে না। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আই এস সিরিয়া এবং ইরাকের অংশবিশেষ নিয়ে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করে। 

অনলাইনে চরমপন্থী প্রপাগান্ডা চিহিৃতকারী জেওএস প্রজেক্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা লরেন্স বিন্ডনার এএফপিকে বলেছেন, আসাদকে ক্ষমতাচ্যুতকারী বিদ্রোহীরা সিরিয়াতে এমন একটা নাগরিক এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় যার অবস্থান হবে ইসলামিক শরিয়া থেকে অনেক দুরে। 

অন্যদিকে আইএস সংখালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায় ইয়াজিদি, খৃষ্টান এবং আলাউইটদের সাথে বিদ্রোহীদের সহ-অবস্থানের প্রস্তাবের কারণে বিজয়ী বিদ্রোহীদের কঠোর সমালোচনা করে। 

বর্তমানে কেউ কেউ আইএসকে ইতিহাসের বইয়ে স্থান দিতে বলছে। কেউ কেউ এমনও বলতে চান আইএস উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে নিজেদের সক্ষমতা সিরিয়াতে গোপন করছে। 

বিজয়ী বিদ্রোহী হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস)  সিরিয়ার নিয়ন্ত্রন নিলে আইএস ততটুকু জমির দখল নেবে যতটুকু তারা পারবে, বলেছে তেল আবিব ভিত্তিক জাতীয় নিরাপত্তা অধ্যায়নের গবেষক ইয়োরাম শোয়েজার। আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতা নিলে সেখানকার আইএস-খোরাজান যা করেছিল সিরিয়াতেও ইসলামিক স্টেট তাই করবে বলে শোয়েজার বলেন। 

আইএসের চোখ এখন কুর্দি নিয়ন্ত্রিত জনাকীর্ন এলাকায় যেখানকার ক্যাম্পে দশ হাজার ইসলামিক খেলাফত যোদ্ধা, তাদের নারী এবং শিশুরা বন্দী অবস্থায় আছে। যেসব ক্যাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভঙ্গুর।   
এটা বলা যায় যে আইএস’র সফলতা এবং নিস্ক্রিয়তা নির্ভর করবে আমেরিকা কি চায় তার উপর, সিরিয়াতে ইউএসএ’র ১০০০ সৈন্য আছে, তাদের কর্মকান্ডের উপর এবং কুর্দিদের প্রতি তুরস্ক কি রূপ ব্যবহার করে তার উপর।