শিরোনাম
ঢাকা, ১ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : পুলিশ সংস্কার কমিশন (পিআরসি) ১৮৮৯ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি)’র ৫৪ ধারায় কোনো ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করার বিদ্যমান বিধান সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে।
পিআরসি ২৪ হাজার ৪৪২ জনের ওপর একটি সমীক্ষা চালায় এতে ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা ৫৪ ধারাটিকে নিপীড়নমূলক মনে করেন।
পুলিশকে আরও জনবান্ধব করতে সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে ‘কেমন পুলিশ চাই’ বিষয়ে জরিপটি করেছে পিআরসি।
মোট ২১ হাজার ৬৩৭ জন উত্তরদাতাদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ২ শতাংশ লোক মতামত দিয়েছে যে সিআরপিসির ৫৪ ধারাটি সংস্কার ও আধুনিক করা উচিত।
ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ এবং গণতান্ত্রিক সমাজের মূল্যবোধ সংরক্ষণের জন্য, ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ উত্তরদাতা পরামর্শ দিয়েছেন যে হাইকোর্টের সুপারিশ অনুযায়ী ৫৪ ধারা সংশোধন করা উচিত।
পিআরসি জনগণের মতামত ও পরামর্শের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে গত ৩ ডিসেম্বর তাদের জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে।
১৪ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, এই ধারায় বিভিন্ন সময়ে অপব্যবহার রোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কিছু পুলিশ সদস্যের আক্রমণাত্মক বল প্রয়োগ নিয়ে দেশ-বিদেশে সাম্প্রতিক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ জরিপটি করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশ বাহিনী সংস্কারের জন্য ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’ গঠন করেছে।
প্রায় ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা পুলিশের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন।
২০ শতাংশ মানুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার তদন্তে হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি স্থায়ী কমিশন গঠনের পরামর্শ দেয়।
প্রায় ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ পুলিশ বাহিনীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার এবং ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ চান।
প্রায় ৭৫ শতাংশ উত্তরদাতা মানবাধিকার লঙ্ঘন, জোরপূর্বক গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার জন্য পুলিশকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানান।
দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজন দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বাধীন পুলিশ।
জরিপ প্রতিবেদনটি এখন পুলিশ সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইট www.prc.mhapsd.gov.bd -এ পাওয়া যাচ্ছে।