শিরোনাম
ঢাকা, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও তার স্ত্রী আফরিন তাপসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রোববার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন দুদকের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম মামলা দুটি দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
মহাপরিচালক জানান, শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক সংসদ সদস্য, ঢাকা-১২ ও ঢাকা-১০ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন।
এ ছাড়া তিনি নিজ নামে ২৭টি ব্যাংক হিসাবে ২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৯ আগস্টের মধ্যে তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩০৪ কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৮ টাকা জমা ও ২৩৪ কোটি ৮২ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫০ টাকা উত্তোলন করেন অর্থাৎ তিনি তার ব্যাংক হিসাবে মোট ৫৩৯ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৭৮ টাকা লেনদেন এবং ২ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৬ মার্কিন ডলার জমা ও ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯১ মার্কিন ডলার উত্তোলন করেন অর্থাৎ ৫ কোটি ১৭ লাখ ৫২৭ মার্কিন ডলার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন।
মহাপরিচালক বলেন, এসব অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ গোপন ও আড়াল করার উদ্দেশ্যে জ্ঞাতসারে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বিধায় তাপসের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ ছাড়া আফরিন তাপস তার স্বামী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৪০ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখেছেন এবং তিনি নিজ নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮২ টাকা জমা ও ৩১ কোটি ৭ লাখ ২৫ হাজার ৯৮৭ টাকা উত্তোলন করেন অর্থাৎ তিনি তার ব্যাংক হিসাবে মোট ৭০ কোটি ৮৯ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৯ টাকা লেনদেন এবং ২ লাখ ২ হাজার ২৫৯ মার্কিন ডলার জমা ও ১ লাখ ৯৩ হাজার ৭০৪ মার্কিন ডলার উত্তোলন অর্থাৎ মোট ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬৩ মার্কিন ডলার অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ গোপন ও আড়াল করার উদ্দেশ্যে জ্ঞাতসারে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করেন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বিধায়, তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।