বাসস
  ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৭

সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌছাবে : সংস্কৃতি উপদেষ্টা

জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ‘হ্যাপি চাইনিজ নিউ ইয়ার ঝিজিয়াং উ অপের’ ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনা অনুষ্ঠিত। ছবি : বাসস

ঢাকা, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও চীন সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।

চীনা নতুন বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও চীনা দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী মনোজ্ঞ পরিবেশনা গতকাল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ‘হ্যাপি চাইনিজ নিউ ইয়ার ঝিজিয়াং উ অপের’ এই পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশ এক নতুন অধ্যায়ের যুগে প্রবেশ করেছে। আমি চীন সরকার এবং দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং আশা করি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও চীন সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌছাবে। এবং সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুই দেশের জন্যই সুফল বয়ে আনবে।’

বাংলাদেশ এবং চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অংশ হিসেবে এই আয়োজন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (সচিব পদমর্যাদা) ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। চীনা নতুন বর্ষ উদযাপন নিয়ে এবং তাদের লোককাহিনীর বিষয়ে বক্তৃতা উপস্থাপন করেন তিনি। পরে চীনের দার্শনিক হিউয়েন সাং এর বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং তার মাধ্যমে চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের যোগসূত্রের বিষয় তুলে ধরেন মহাপরিচালক, নাট্যনির্দেশক ও শিক্ষক।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও য়েন।

আলোচনা পর্ব শেষে শুরুতেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী মনিপুরী নৃত্য পরিবেশিত হয়। সিলেটের ‘একাডেমি ফর মুনিপুরী কালচার এন্ড আর্টস’ এর শিল্পীরা ১০ মিনিটের এই নৃত্য পরিবেশন করেন। এরপর চীনের ‘ঝিজিয়াং উ অপেরা’ এবং চীনের শিল্পীরা তাদের পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।

চীনা নতুন বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ‘স্প্রিং ফেস্টিভাল’ বিস্তৃত পরিসরে উদযাপিত হয়ে থাকে। পুরাতন বছর থেকে বেরিয়ে নতুন বছরে পদার্পণের এই উৎসবের অন্যতম উপলক্ষ হলো পারিবারিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি, বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শুভেচ্ছা এবং সম্প্রীতি বিনিময় করা। এ বছর ২০২৫ সালের নতুন বর্ষকে ‘ইয়ার অব দ্যা স্নেক’ হিসেবে ঘোষণা করেছে তারা।