শিরোনাম
ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): দেশের পাবলিক প্লেসসমূহ শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখার লক্ষ্যে প্রচারণা শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার।
‘ভাইটাল স্ট্রাটেজিস’র কারিগরি সহায়তায় ‘শতভাগ ধূমপানমুক্ত পাবলিক প্লেস’ শীর্ষক এ প্রচারণার অংশ হিসেবে নির্মিত একটি বিজ্ঞাপন বাংলাদেশ টেলিভিশন ও স্টপ টোব্যাকো বাংলাদেশের মাধ্যমে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে প্রচার করা হবে।
এছাড়া মাসব্যাপী এ প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন- ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স, ইউটিউব ইত্যাদি মাধ্যমে বিভিন্ন কন্টটেন্ট নির্মাণ ও পোস্ট করা হবে।
বিজ্ঞাপনে পাবলিক প্লেস তথা একটি রেস্তোরাঁয় নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তির সামনে ধূমপান, তার পরোক্ষ প্রভাব ও ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব প্রদর্শিত হবে।
এ বিষয়ে 'ভাইটাল স্ট্রাটেজিস'র সিনিয়র কনসালটেন্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পাবলিক প্লেসে ধূমপান এলাকার অধূমপায়ীদের জন্য বিড়ম্বনার কারণ। শিশু-নারীসহ অধূমপায়ীদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সুরক্ষায় পাবলিক প্লেসগুলোকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে প্রচারণাসহ বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধন করা দরকার।
উল্লেখ্য, বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ায় ৭ হাজারের বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যার ২৫০টি মারাত্মক ক্ষতিকর এবং ৭০টির অধিক মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদী রোগ (এম্ফাইজিমা, এজমা), ডায়বেটিস ইত্যাদি প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি বাড়ায়।
এছাড়া, পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাবে পৃথিবীতে বছরে ১৩ লক্ষাধিক ও বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির গবেষণার তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২৬ হাজার মানুষ মারা যায়।
বিপুল পরিমাণ মানুষের এ অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু কমাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) ও এর আর্টিকেল ৮-এ পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
সরকার তার প্রচারণায় জনসাধারণকে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে কাজ করছে।
প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ধূমপান শ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শ্বাসনালী, রক্তনালী এবং হৃদযন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এটি স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। সুতরাং পাবলিক প্লেসে সম্পূর্ণ ধূমপান মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।