শিরোনাম
ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, সড়কের পাশের গাছ রোপণ ও পরিচর্যায় স্থানীয়দের আন্তরিকতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে সামাজিক বনায়নের গাছ মেয়াদপূর্ণ হলেই না কেটে এর মূল্য নির্ধারণ করে উপকারভোগীদের দেওয়া যেতে পারে।
উপদেষ্টা আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ১৪৫তম কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় এসব কথা বলেন।
ভূমি উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা শহর বাঁচাতে পাতাল রেল অত্যন্ত প্রয়োজন। পাতাল রেল ঢাকার যানজট হ্রাস করে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। এটি একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, জনস্বার্থে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমে ভূমি মালিকেরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানির শিকার না হয়; এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় ছয়টি প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এরমধ্যে রয়েছে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলাধীন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩টি সড়ক প্রশস্তকরণের লক্ষ্যে ৮টি মৌজার ২৭ দশমিক ৮০৯৭ একর ভূমি অধিগ্রহণ।
রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘মাদানী এভিনিউ থেকে বালু নদী পর্যন্ত প্রশস্তকরণ এবং বালু নদী থেকে শীতলক্ষ্যা নদী পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য রূপগঞ্জ উপজেলাধীন রূপগঞ্জ ও নাওড়া মৌজায় বিভিন্ন দাগে দশমিক ৯৮৯৬১ একর ভূমি অধিগ্রহণ। ইতোপূর্বে এই প্রকল্পে ৩৪ দশমিক ৮৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড বাস্তবায়নাধীন ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’র আওতায় ‘আফতাবনগর ও বাড্ডা পাতাল মেট্রোরেল স্টেশনের এন্ট্রি-এক্সিট, ফেয়ার এক্সিট, ভেন্টিলেশন ডাক্ট ও লাইন-৫: সাউদার্ন রুট এর সঙ্গে সংযোগ করিডর নির্মাণের জন্য ২ দশমিক ৪৪৬২ একর ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব রয়েছে।
‘সাতক্ষীরা সড়ক ও সিটি বাইপাস সড়ককে সংযুক্ত করে সংযোগ সড়কসহ তিনটি লিংক রোড নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পে ইতোমধ্যে ৩০ দশমিক ৭৯ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত দশমিক ১৮২৩৫ একর ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
বিশ্বমানের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গাজীপুর সদরে ‘কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন অর্থনৈতিক রূপান্তরের জন্য দক্ষতা ত্বরান্বিত এবং শক্তিশালীকরণ (এ্যাসেট)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১৪ দশমিক ৪৯১ একর ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, কৃষি সচিব ড. মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরা এবং অনলাইনে যুক্ত ছিলেন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসকরা।
এছাড়া প্রত্যাশিত অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।