বাসস
  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:২৮

জাপান সরকার প্রায় ৬৫ কোটি টাকার অনুদান সহায়তা দিবে

‘প্রজেক্ট ফর দ্য ইমপ্রুভমেন্ট অব ইকুইপমেন্ট ফর এয়ার পলুশন মনিটরিং’ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য প্রায় ৬৫ কোটি টাকার অনুদান প্রদানের বিষয়ে আজ বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে একটি ‘অনুদান চুক্তি’ ও ‘বিনিময় নোট’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (বাসস): জাপান সরকার বায়ু দূষণ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারকে একটি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬৫ কোটি টাকার অনুদান সহায়তা প্রদান করবে।

এ লক্ষ্যে ‘প্রজেক্ট ফর দ্য ইমপ্রুভমেন্ট অব ইকুইপমেন্ট ফর এয়ার পলুশন মনিটরিং’ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য আনুমানিক প্রায় ৬৪ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা (৮৩৫ মিলিয়ন জাপানি ইয়েন বা ৫ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রদানের বিষয়ে আজ বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে একটি ‘অনুদান চুক্তি’ ও ‘বিনিময় নোট’ স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বিনিময় নোট এবং অনুদান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী।

ইআরডি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি ‘বিনিময় নোট’-এ এবং ঢাকায় নিযুক্ত জাইকা’র  প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে জাপান সরকারের পক্ষে ‘অনুদান চুক্তি’ স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাপান সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার ইকুইনা আকিকো, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্পটি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২৫ সালের মার্চ থেকে ২০২৮ সালের জুন মেয়াদকালে  বাস্তবায়িত হবে।

এই অনুদানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে যানবাহন থেকে নির্গত দূষিত বায়ুর প্রভাব বিশ্লেষণের জন্য কন্টিনিউয়াস এয়ার মনিটরিং স্টেশন (সিএএমএস) স্থাপন এবং বায়ু দূষণকারী  উপাদান পরিমাপ ও বিশ্লেষণ করা।

দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী দেশ জাপান। স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবত  জাপান সরকার দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে ৩২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের  প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

নমনীয় ঋণ ছাড়া জাপান মানব সম্পদ উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ সুরক্ষাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অনুদান এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে।