শিরোনাম
ঢাকা, ২৫ মার্চ, ২০২৫ (বাসস): পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে যানজট নিরসন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-সিলেটসহ সকল জাতীয় মহাসড়কে ঈদের ৭ দিন আগে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ঈদের সময় ৭ দিনের জন্য সকল উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকবে। কাঞ্চনপুর ব্রিজ সংলগ্ন নির্মাণাধীন সড়ক ঈদের সময় খুলে দেয়া হবে।
এছাড়াও এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত চার লেন এবং ঝাওয়াল ব্রিজ চার লেন ২০ মার্চ থেকে চালু করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘাটুরা ব্রিজ ঈদের আগেই চালু করা হবে বলেও জানানো হয়।
যানজট নিরসন ও বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়ে বলা হয়েছে, যানজট প্রবণ এলাকায় বিকল্প সড়ক ব্যবহারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সদরঘাট, মহাখালী, সায়েদাবাদ, গাবতলী ও ফুলবাড়িয়া টার্মিনালে সিসিটিভি ও সার্চলাইট স্থাপন করা হয়েছে এবং পুলিশ কন্ট্রোলরুমের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। ১৫৫টি যানজটপ্রবণ স্পট মনিটরিংয়ের আওতায় আনা এবং ঈদযাত্রার সময় যানবাহন চলাচল পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ মনিটরিং ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে।
বিশেষ মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে জানিয়ে বলা হয়, ঈদের সময় বিভিন্ন মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও লক্কড়-ঝক্কড় যান চলাচল বন্ধে এবং সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে জানিয়ে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে বলা হয়, ঢাকার বিভিন্ন বাস টার্মিনালে হেল্পডেস্ক স্থাপন এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
এছাড়াও যানজট এড়াতে পর্যাপ্ত ফেরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিআরটিসি বিশেষ ঈদ সার্ভিস প্রদানের লক্ষ্যে ৭৭৫টি বাস ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় পরিচালিত হচ্ছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য বিশেষ বাস-সার্ভিস ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীকাল ২৬ মার্চ থেকে ঈদ পরবর্তী ৫ দিন সার্বক্ষণিক সিএনজি স্টেশন খোলা থাকবে।
দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন দ্রুত সরানোর জন্য রেকার ও উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রয়েছে। ৯৯৯ এর মাধ্যমে জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে মহাসড়কের পাশে হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৩টি টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।
পদ্মা সেতু, যমুনা সেতু, কর্ণফুলী টানেলসহ প্রধান সেতুগুলোর টোল প্লাজায় পর্যাপ্ত জনবল রাখা হয়েছে। ইলেকট্রনিক টোল আদায় ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
গার্মেন্টস ও শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেতন-ভাতা পরিশোধ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
এদিকে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য বিআরটিএ’র কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। যোগাযোগের জন্য সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ ঈদযাত্রার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যাত্রীদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার অনুরোধের পাশাপাশি যেকোনো সমস্যায় (০১৫৫০০৫১৬০৬, ০১৫৫০০৫৬৫৭৭ এবং ০১৫৫২১৪৬২২২) বিআরটিএ কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।