বাসস
  ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৪৯

স্টার্টআপদের জন্য ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে ইনসেপ্টা

সোমবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক ব্রিফিংয়ে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ, প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ৭ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): স্টার্টআপদের জন্য ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করার ঘোষণা ইনসেপ্টা গ্রুপ।

আজ সকালে ‘নতুন যুগে তহবিল সংগ্রহ: বাজারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া’ এক সেমিনারে ইনসেপ্টা গ্রুপের মালিক নাবিলা নওরিন এ ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।

সোমবার বিনিয়োগ সামিটের প্রথম দিনের স্টার্টআপ বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব আরও বলেন, ইনসেপ্টা গ্রুপের এই ফান্ড স্টার্টআপদের জন্য, ইক্যুইটি, গ্র্যান্ড এবং লোন হিসেবে কিংবা যেকোনো ফরমেটে দেবেন। আমরা এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। কারণ এর আগে স্টার্টআপদের জন্য যে ফান্ডগুলো এসেছে তার প্রায় ৭৬ শতাংশ বিদেশি ফান্ড। তাই বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের স্টার্টআপদের ফান্ডিং করার এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি যে পলিসিগুলো নিয়েছে তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক আউট বাউন্ড ফরেন কারেন্সি ট্রানজেকশনের উইন্ডো ওপেন করেছে। এছাড়া স্টার্টআপদের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে বিদেশি কোম্পানির শেয়ার শপিংয়ের বাধা দূর করেছে। অর্থাৎ স্থানীয় উদ্যোক্তারা বিদেশি কোম্পানির শেয়ার অন করেন, তাহলে তারা শেয়ার শপিং করতে পারবেন। এর বাইরে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে স্টার্টআপদের জন্য ফান্ড জমা ছিল সেটা লিভারেজ করতে বলেছেন গভর্নর। আগামী সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে অবমুক্ত করে দিবেন। এছাড়া এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন কোন পলিসি অ্যালাউ করা হবে না, যা স্টার্টআপদের ফান্ডিং বাধাগ্রস্ত করবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যাতে কোনোভাবে ইন্টারনেট বন্ধ না হয়। সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাতে আগামীতে কোনো সরকার আর ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার গত জুলাই আন্দোলনে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ফ্রিলান্সার ও  ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, রেমিট্যান্সে ফ্ল কমেছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট লাইনই অবনমন হয়েছে। সেই থেকে আমরা শিক্ষা নিয়ে  আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বর্তমান সরকার কখনো ইন্টারনেট বন্ধ করবে না। আগামী সরকারও যাতে কখনো ইন্টারনেট বন্ধ করতে না সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যে বিধানের বলে ইন্টারনেট বন্ধ করা হতো সেগুলো সংশোধন করে আগামী সাইবার সেফটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হবে। সেখানে এমন বিধান সংযুক্ত করা হবে যাতে কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে। স্টারলিংক রেজিস্ট্রেশন জন্য একটা গাইড লাইন করছি সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে সে ধরনের বিধান রাখছি।