শিরোনাম
দোহা (কাতার), ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর জন্য প্রযুক্তি শিক্ষা চালু করার জন্য কাতার চ্যারিটির সহায়তা কামনা করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কাতার চ্যারিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নওয়াফ আবদুল্লাহ আল হাম্মাদির সাথে এক বৈঠককালে অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে কাতারের সংস্থার চলমান মানবিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন, যার মধ্যে রয়েছে এতিমদের জন্য স্পনসরশিপ প্রোগ্রাম এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এলপিজি বিতরণ।
তিনি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য প্রযুক্তি-ভিত্তিক দক্ষতার মতো উদীয়মান প্রযুক্তি শেখার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আগ্রহের উপর জোর দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য যেকোনো সহায়তাকে আমরা স্বাগত জানাব।’
তিনি বলেন, কাতার চ্যারিটি বাংলাদেশি মাদ্রাসাগুলোর সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হতে পারে এবং তাদের পাঠ্যক্রমে প্রযুক্তি বিষয়ক পাঠ যুক্ত করার প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা খুব দ্রুত শিখতে পারে। তারা দ্রুত এই দক্ষতাগুলো অর্জন করবে।’
জবাবে, কাতার চ্যারিটি প্রধান উলে¬খ করেন যে, সংস্থাটি ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি মাদ্রাসাকে দক্ষতা এবং জীবিকা নির্বাহের কর্মসূচিতে সহায়তা করেছে। তিনি আশ্বাস দেন যে, প্রস্তাবটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।
আলোচনাকালে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অব্যাহত মানবিক সহায়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
অধ্যাপক ইউনূস কাতার চ্যারিটিকে তাদের এলপিজি বিতরণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার এবং শরণার্থী জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান।
নারী শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে, প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের মেয়েদের, বিশেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান।
দুই নেতা বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ উদ্যোগ এবং দারিদ্র্য বিমোচনে তাদের প্রভাবশালী ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস দারিদ্র্য মোকাবেলায় প্রচারণা ও কার্যকারিতা সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব অন্বেষণ করতে কাতার চ্যারিটিকে উৎসাহিত করেন।