বাসস
  ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৪৮

রাজউকের ‘টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট ও বিল্ডিং কন্সট্রাকশন অ্যাক্ট’ নতুন করে প্রণয়ন করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা 

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ফাইল ছবি

ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ (বাসস): রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) জনবান্ধব ও যুগোপযোগী করতে প্রচলিত ‘আইন টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট ও বিল্ডিং কন্সট্রাকশন অ্যাক্ট’ নতুন করে প্রণয়ন করতে হবে। 

তিনি বলেন, অল্প পরিবর্তনে কাজ হবে না। সময় ও বাস্তবতার চাহিদায় প্রয়োজনীয় কিছু রেখে নতুন করে এ আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং বোর্ডের গঠন বদলাতে হবে।

আজ বুধবার রাজউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজউকের বোর্ডে কেবল আমলা নয়,শহর পরিকল্পনায় দক্ষ বিশেষজ্ঞ রাখতে হবে।  ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে কাজ করতে হবে। রাজউক কি ডেভেলপার না রেগুলেটর তাও পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, রাজউককে আর হাউজিং করতে দেয়া যাবে না। গোটা এলাকাভিত্তিক মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে।  বেসরকারি হাউজিং নিয়ন্ত্রণের প্রয়াস আগে ছিল না,এখন তা জরুরি হয়ে পড়েছে। 

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের জন্য একটি নতুন ভিশন দরকার। সেই ভিশনে সিভিল সোসাইটি, রাজউক ও সাধারণ মানুষের মতামত প্রতিফলিত হওয়া দরকার। রাজউককে রাজনৈতিক চাপে রাখা যাবে না। ধনীদের জন্য নয়; গৃহহীনদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা হতে পারে। যাতে ঢাকার ওপর চাপ কমে সেই লক্ষ্যে  জনগণের সেবা বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে বলেও জানান উপদেষ্টা।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, রাজউকের ভবনটিও আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব হওয়া প্রয়োজন। রাজউক চেয়ারম্যানের রেসিডেন্সিয়াল ভবনকে কমার্শিয়াল করার ক্ষমতা রহিত হওয়া উচিত। মহাপরিকল্পনার বাইরে না গিয়েই বোর্ড এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। 

তিনি পূর্বাচলের জমি ধ্বংসের সমালোচনা করে বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের জন্য হাউজিং করার যৌক্তিকতা নেই। নগরবাসীর জীবনমান উন্নয়ন রাজউকের দায়িত্ব। জাতীয় ও নির্মিত ঐতিহ্য রক্ষায় কাজ করতে হবে এ প্রতিষ্ঠানকে। 

তিনি বলেন, প্রতিটি প্রকল্পের এক্সিট প্ল্যান  থাকা দরকার। অন্যদিকে রাজউক ও এস্টেট

ডিপার্টমেন্টকে জনসেবামুখী হতে হবে এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। এক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাকে শহরের উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার কথাও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।

মতবিনিময় সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাজউকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলামসহ রাজউকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।