বাসস
  ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৩০

ওজোন স্তর ধ্বংসকারী পদার্থের ব্যবহার হ্রাস করার জন্য বিশেষজ্ঞদের আহ্বান 

প্রতীকী ছবি

খুলনা, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : ওজোন স্তর রক্ষায় ভিয়েনা কনভেনশন এবং মন্ট্রিল প্রোটোকল বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে বিশেষজ্ঞরা আজ হাইড্রো ফ্লোরোকার্বন (এইচএফসি) এবং অন্যান্য ওজোন-হ্রাসকারী পদার্থের ব্যবহার হ্রাস করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।

তারা উলে¬খ করেন, এইচএফসি হচ্ছে মন্ট্রিল প্রোটোকলের অধীনে ওজোন-হ্রাসকারী পদার্থের বিকল্প হিসাবে প্রবর্তিত সিন্থেটিক গ্রিনহাউস গ্যাস। এইচএফসি ওজোন স্তর সংরক্ষণে সহায়তা করলেও, এগুলোর বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সক্ষমতা (জিডাব্লিউপি) রয়েছে, যা কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়ে হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এইচপিএমপি পর্যায়-২ বাস্তবায়নের মাধ্যমে, প্রায় ১.৭ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইডের সমতুল্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন এড়ানো সম্ভব হবে।

নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে অনুষ্ঠিত "বাংলাদেশে মন্ট্রিল প্রোটোকল বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আঞ্চলিক প্রচারণা কর্মশালায়" এ পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করা হয়েছে। 

'বিশ্ব ওজোন দিবস' উপলক্ষে আজ বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিবেশ অধিদপ্তর এইচসিএফসি ফেজ-আউট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (পর্যায়-২) প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালার আয়োজন করে।

এ বছরের দিবসের প্রতিপাদ্য হল: "ওজোন স্তর সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন রক্ষা।"

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার বলেন, "বাংলাদেশ মন্ট্রিল প্রোটোকল বাস্তবায়নের সকল ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে এবং তার বাধ্যবাধকতাগুলি মেনে চলছে। এর স্বীকৃতিস্বরূপ, বাংলাদেশ জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি কর্তৃক প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "এছাড়াও, ওজোন-হ্রাসকারী পদার্থের অবৈধ প্রবেশ এবং আমদানি নিয়ন্ত্রণে উলে¬খযোগ্য অবদানের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর বিশ্ব শুল্ক সংস্থা, জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি এবং ওজোন সচিবালয় কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে।"

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (বাতাসের মান ব্যবস্থাপনা) মো. জিয়াউল হক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অন্যদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ওডিএস প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা শেখ ওবিদুল¬াহ আল মাহমুদ মন্ট্রিল প্রোটোকল বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) ইমরান আহমেদ; খুলনা বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুর মোর্শেদ এবং খুলনা বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সাদিকুল ইসলাম।

কর্মশালায় বিভিন্ন খাতের সরকারি কর্মকর্তা, প্রযুক্তিবিদ, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, এনজিও ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।