বাসস
  ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৪৪
আপডেট  : ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৫১

বহির্বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার : রেলপথমন্ত্রী

নীলফামারী, ১ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : রেলপথমন্ত্রী এডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘বহির্বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে আমাদের দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে করে রেলসেবা আরও গতিশীল হবে।’
রোববার বিকেল ৫টার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শনে এসে তিনি একথা বলেন।
নূরুল ইসলাম সুজন আরো বলেন, এর আগে বিএনপি-জামায়াত সরকার রেলকে শেষ করে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে রেলপথ মন্ত্রণালয় নামে একটি পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করে রেলকে গতিশীল করার কাজ হাতে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় আধুনিক হচ্ছে রেল। আমাদের দেশে মিটারগেজ (ছোটলাইন) ও ব্রডগেজ (বড়লাইন)  দুই ধরণের রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা চালু আছে। এ ব্যবস্থা ভেঙে বহির্বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে শুধু ব্রডগেজ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। এতে করে রেলসেবা আরও গতিশীল হবে।
দেশের বৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা আধুনিকায়ন হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ কারখানার ভেতরে নতুন কোচ নির্মাণ করার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। শূন্য পদের জন্য বিশেষ করে খালাশি পদে মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এ নিয়োগ প্রদান করা হবে। এছাড়াও বর্তমানে রেলের নানা ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজ চলমান রয়েছে।
জেলার চিলাহাটি-ঢাকা নতুন আরেকটি ট্রেন চালুর প্রসঙ্গে রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে রেলসেতু নির্মাণ কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছর জুনে এ কাজ শেষ হবে। সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেই চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী দিনের বেলা আরেকটি নীলসাগর ট্রেন চালু করা হবে।’
এর আগে আজ বিকেলে দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় এসে পৌঁছালে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মো. সাদেকুর রহমান তাকে স্বাগত জানান। পরে তিনি সৈয়দপুরের রেলওয়ে অঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্মারক অদম্য স্বাধীনতায় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কারখানর কয়েকটি উপকারখানা (শপ) ঘুরে দেখেন ও শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। কারখানায় রক্ষিত ব্রিটিশ রানীর ব্যবহৃত সেলুন কোচটি পরিদর্শন করেন তিনি।
মন্ত্রীর ওই পরিদর্শনকালে কারখানায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (এডিজি, আরএস) মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসিম কুমার তালুকদার, প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদা প্রমুখ।