শিরোনাম
ঢাকা, ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকায় এবং প্রয়াত নেতার পৈতৃক গ্রামের বাড়ি ও নির্বাচনী এলাকা কিশোরগঞ্জে নানা কর্মসূচি গ্রহন করা হয়।
সকাল ৯ টার দিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পক্ষে বনানী কবরস্থানে মরহুমের সমাধীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী ও মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিকোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। দলটির নেতাকর্মীরাও তাদের সঙ্গে নেই। তার প্রমাণ ১০ ডিসেম্বর ১০ লাখ মানুষের কথা বলে ৫০ হাজার মানুষের জমায়েত করতে পেরেছেন তারা। ফলে দলটির নেতারা এখন মুখ দেখাতে পারছেন না। আসলে বিএনপির আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা নেই। বিএনপির হাঁকডাক খালি কলসি বাজার মতো।
সৈয়দ আশরাফের স্মৃতি চারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যু ছিল অপ্রত্যাশিত। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিশীলিত নেতা ছিলেন তিনি। তার লোভ-লালসা ছিল না। নতুন প্রজন্মের কাছে তার আদর্শ অনুসরণীয়।’
এদিকে বেলা সাড়ে ৯টার দিকে সৈয়দ আশরাফের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যেভাবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, নিজের এলাকার মানুষকে সেবা দিয়েছেন, এতে তিনি নিজেকে একটা অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত এই নেতা ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১/১১ সময়কালীন দলের দুঃসময়ে তিনি দলকে নেতৃত্বে দিয়েছিলেন। পরিচ্ছন্ন রাজনীতিরযে উদাহরণ তিনি তৈরি করেছিলেন, তা সকলের জন্য অনুকরণীয়।
এছাড়াও সৈয়দ আশরাফ স্মৃতি সংসদসহ বিভিন্ন অংগ-সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেদেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তারবোন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি।
২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৬৮ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ। সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মী তার পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন।