বাসস
  ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:৩৪

ঢাকা ভারসাম্যপূর্ণ বৈদেশিক নীতি বজায় রাখছে : মোমেন 

ঢাকা, ১০ জানুয়ারী, ২০২৩ (বাসস) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংকে বলেছেন যে, ঢাকা চীন সহ সকল দেশের সাথে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি বজায় রেখে চলেছে। 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠকের সাংবাদিকদের বলেন, "আমি তাকে (গ্যাং) বলেছি যে, আমরা একটি ভারসাম্যপূর্ণ বৈদেশিক নীতি বজায় রাখছি। আমাদেরকে সকল দেশের সাথে চলতে হবে। আমরা সময়ে সময়ে আপনাদের (চীন) প্রতি আমাদের সমর্থন দিয়ে যাব।" 
গ্যাং এক সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণে আফ্রিকার পাঁচটি দেশে যাওয়ার পথে এখানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করেছিলেন। মোমেন গত রাত ১টা ৫৮ মিনিটের দিকে বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান এবং বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সংক্ষিপ্ত বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।  
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে, তিনি তার চীনা প্রতিপক্ষের সাথে আলাপকালে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন প্রকল্প, ভ্যাকসিন সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়গুলি উত্থাপন করেছেন। মোমেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, "আমরা এক চীন (নীতিতে) বিশ্বাস করি। এটাই আমাদের নীতি।"
দুই দেশের মধ্যেকার বিশাল বাণিজ্য ব্যবধানের বিষয়টি উত্থাপন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের বাজারে ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশী রপ্তানি পণ্যের জন্য শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা প্রদানের বিষয়ে বেইজিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন বাংলাদেশকে সহায়তার দেয়ার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরকে একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করে মোমেন বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে সফরকালে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। চীনকে বাংলাদেশের প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অভিহিত করে তিনি পদ্মা সেতুর রেল সংযোগসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে মোমেনকে বেইজিং সফরের আমন্ত্রণ জানান। জবাবে মোমেন তার চীনা প্রতিপক্ষকে আরও দীর্ঘ সময় অবস্থান করার জন্য আবার এখানে আসার আমন্ত্রণ জানান।
 বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরে রাত ২টা ৫০ মিনিটে বিমানবন্দরে তার চীনা প্রতিপক্ষকে বিদায় জানান।