শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবনে ‘ভেঙ্গেছে দুয়ার, এসেছ জ্যোতির্ময়’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন।
গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভার পরে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনটিতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে রচিত বইটি সম্পাদনা করেছেন এস এস এফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান।
বইটি প্রকাশ করেছে জয়ীতা প্রকাশনী এবং বইটির প্রকাশক হলেন ইয়াসিন কবীর জয়।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্তস্বাধীন দেশের মাটিতে পা রাখেন।
আর্ট পেপারে ছাপা, শক্ত মলাটে বাঁধাই করা ১শ’ পৃষ্ঠার বইটিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমে যে সকল রিপোর্ট, বিশেষ প্রতিবেদন, ছবি ছাপা হয়েছিল সেই পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতা বাছাই করে সংকলিত করা হয়েছে।
এছাড়াও সেই সময়ের, দৈনিক আজাদ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক পাকিস্তান ও পরবর্তীত দৈনিক বাংলা, দৈনিক সমাজ, দ্যা মনিং নিউজ ,দ্যা পিপলস, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ অবজারভার সহ বিভিন্ন পত্রিকার ৯৫টি প্রথম পাতা সন্নিবেশিত করা রয়েছে। এই বইটি নতুন প্রজন্মের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন ও অবদান এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
মহান মাতৃভাষা আন্দোলনে বাঙালির মানসে যে আত্মচেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতার আন্দোলনে উপনীত করেছেন। পরাধীনতার নিগড় থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সমগ্র বাঙালি জাতিকে এক সুকঠিন ঐক্যে জোটবদ্ধ করেছেন। সামান্য পরিমাণ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সমরবিদ্যায় সুশিক্ষিত ও বিপুল অস্ত্রে সজ্জিত হানাদার পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে সাহসী করেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা, এমন নেতৃত্ব নজিরবিহীন।
১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস রক্ষক্ষয়ী সংগ্রামে বিজয় অর্জনের ভেতর দিয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করলেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের কারাবন্দী। সামরিক জান্তারা তাঁর প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু তিনি ছিলেন আদর্শে অটল।
এদিকে বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাঙালির স্বাধীনতা তথা বিজয়ের আনন্দ ছিল অসম্পূর্ণ। জাতির পিতার মুক্তির জন্য বাঙালির দাবি আর বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চাপে পাকিস্তানী জান্তারা অবশেষে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুক্তরাজ্যের লন্ডন এবং ভারত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্তস্বাধীন দেশের মাটিতে পা রাখেন। সেদিন বিজয়ী বাঙালি তাদের মহানায়ককে বরণ করতে এক অবিস্মরণীয় সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল। বইটিতে সেই অবিস্মরীয় দিনগুলোকে তুলে ধরা হয়েছে।
জয়ীতা প্রকাশনীর ২০/২১ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কার্যালয়ে এবং ফেব্রুয়াারিতে অমর একুশের বইমেলায় জয়ীতা প্রকাশনীর স্টলে বইটি পাওয়া যাবে।