শিরোনাম
প্যারিস, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : ইরানে ব্রিটিশ-ইরানি দ্বৈত নাগরিক আলী রেজা আকবরীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। ব্রিটেনের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সাবেক এই প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপ-মন্ত্রীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।
পশ্চিমা সরকার সমূহ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গ্রুপগুলো এ ফাঁসির রায় কার্যকরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
ইরানের বিচার বিভাগের মিজান অনলাইন ওয়েসবাইটে বলা হয়েছে, আলী রেজা আকবরী (৬১) ‘পৃথিবীতে দুর্নীতির বিস্তার এবং গোয়েন্দা তথ্য পাচার করে দেশের আভ্যন্তরীণ ও বাইরের নিরাপত্তার ক্ষতি করার’ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে ফাঁসি দেয়া হয়। তবে কখন ও কোথায় তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে তা ওয়েসাইটে বলা হয়নি।
তবে মিজান বলেছে, আকবরী ব্রিটেনের এম-১৬ গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য পাচার করত এবং এ কাজের জন্যে সে ২০ লাখ ডলার মার্কিন ডলার পেয়েছিল। তাকে দুই বছরের বেশি সময় আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আলী রেজা আকবরীর ফাঁসি কার্যকর বন্ধ করে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল ব্রিটেন।
কিন্তু রায় কার্যকরের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, আকবরীকে ফাঁসি দেয়ায় তিনি আতংকিত।
ট্ইুটারে তিনি আরো বলেন, এটি বর্বরোচিত ও কাপুরোষিত কাজ। বর্বর এই শাসকের তার নিজ দেশের জনগণের মানবাধিকারের প্রতি কোন সম্মান নেই।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব জেমস ক্লেভারলি টুইটারে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, এই ফাঁসি কার্যকর বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়া হবে না।
এরপরই ব্রিটেন ইরানের প্রসিকিউটর জেনারেলের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।
এদিকে একে ‘অপ্রথাগত হস্তক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করে ইরান ব্রিটিশ দূতকে তলব করে। ব্রিটেনও জানিয়েছে, তারা ইরানের দূতকে তলব করবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, আকবরীর ফাঁসির রায় কার্যকরে তারা আতংকিত।
ফ্রান্সও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। একে বিনা জবাবে ছেড়ে দেওয়া যাবে না বলেও হঁশিয়ার করেছে।
অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই ফাঁসি কার্যকরকে ঘৃণিত বলে বর্ণনা করেছে।
সংস্থাটি টুইট করে বলেছে, আকবরীকে অত্যাচার করা হয়েছে। তার সঙ্গে নানা ধরনের খারাপ আচরণ যেমন জোর করে রাসায়নিক জিনিস খাওয়ানো ও নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে।
আকবরী ১৯৮০-৮৮ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধের একজন অভিজ্ঞ সৈনিক ছিলেন। তাকে ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মার্চের মাঝামাঝিতে গ্রেফতার করা হয়। তিনি নৌ কমান্ডারের উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা কেন্দ্রের একটি বিভাগের প্রধান ছিলেন।