শিরোনাম
নীলফামারী, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কচু পাতার উপর ভোরের শিশির বিন্দু নয়, যে টোকা দিলেই পড়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ভীত এদেশের মাটি আর এদেশের মানুষের অন্তরে। হৃদয়ে যে মাটি, হৃদয়ে যে নেতা, সে দলকে হাঁকডাক দিলেই ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবেন, সেটা দিবা স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়।’
ওবায়দুল কাদের আজ রোববার দুপুরে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ফাইভ স্টার মাঠে ‘নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ২০২৩’ অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ বাধা দিবেনা। আমরা বলছি সতর্ক পাহাড়া দিব, আক্রমণ করবো না। আক্রমণ করলে আমি কি চুপ করে থাকবো। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি ললিপপ খাবো। ফদিপুরে তারা পুলিশকে আক্রমণ করলো। পুলিশ কি করবে, পুলিশও কাঁদানে গ্যাস মেরেছে। রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। হতাহত কেউ নেই। আর ফখরুল সেটা নিয়ে ঢাকায় বিষোদগার করেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, খেলা হবে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। খেলা হবে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়ে ফেলার বিরুদ্ধে। খেলা হবে ভুয়া ভোটের বিরুদ্ধে, ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে। যারা আমার দেশের সহ¯্র জননীর বুক খালি করেছে, যারা আমার দেশের শতশত মায়ের কোল খালি করেছে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
তিনি বলেন, যারা জাতির পিতার হত্যাকারীদেরকে পুনর্বাসিত করেছে, পুরস্কৃত করেছে, আইন করে বিচার বন্ধ করতে চেয়েছিল, যারা চারজন জাতীয় নেতাকে হত্যা করেছে, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ২১ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড অর্থ পাচার করে আজকে ট্যাম্পস নদীর পাড়ে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে। খেলা হবে তাদের বিরুদ্ধে।
উন্নয়নের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সেদিন নেই। রেল চলে গেছে পঞ্চগড় পর্যন্ত। ১০টি ট্রেন চলে, সৈয়দপুরে প্লেন আসে, প্রতিদিন ১৬টি। এক সময়ে একটি আসতো দুদিন পর। আমাদের নেত্রীর সঙ্গে কয়েকবার আমি এসেছিলাম মঙ্গাকবলিত উত্তর বঙ্গে। সেই মঙ্গা শেখ হাসিনার পলিসির কারণে এখন জাদুঘরে চলে গেছে। উত্তর বঙ্গের মানুষ আপনারা ভাগ্যবান, সে এলেঙ্গা থেকে ছয় লেন একপ্রেসওয়ে বগুড়া থেকে রংপুর, বুড়িমারী পঞ্চগড় যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন। শেখ হাসিনাই বাবার পাশে মায়ের নামের ব্যবহার শুরু করেছেন। তিনি মায়েদের সম্মান দিয়েছেন। সবসময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ অঞ্চলের জন্য ৯ লাখ শীতবস্ত্র দিয়েছেন। আজ রংপুর বিভাগের ৯টি জেলায় ২৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। রংপুর বিভাগের সকল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন তারা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, দুর্যোগে মানুষের পাশে কখনো বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা শীতের পাখির মতো ভোটের সময় আসে, চাঁদা কালেকশন-মনোনয়ন বাণিজ্য করে আবার চলে যায়। সুতরাং তারা যদি আসে তাদেরকে বলতে হবে- মেহমান এসেছেন ঘরের মধ্যে যান, ভোট দিতে পারব না।’
তিনি আরো বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে বেশি শীত সে কারণে আমাদের নেত্রীর নির্দেশে অন্য কাজ বাদ দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমরা এখানে এসেছি। এখানে বিএনপিকে দেখা যায় নাই। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এবারে উত্তরবঙ্গ, ঠাকুরগাঁওয়ে একটি কম্বলও বিতরণ করে নাই। করোনার সময়ও তাদের দেখা যায় নাই। পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি হয়েছে, বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেছি।’