শিরোনাম
ঢাকা, ২১ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশে নবনিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সুষ্ঠু যোগাযোগের সুবিধার্থে ব্যাবস্থা নিচ্ছে এবং আগামী মাস থেকেই চীনে পূর্ণ মাত্রায় সব এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে। তিনি বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে আমরা কোভিড-১৯-এর কারণে দুই দেশের জনগণের মাঝে যোগাযোগ সীমিত রেখেছিলাম। এখন ভ্রমণ সংক্রান্ত নতুন আন্তর্জাতিক নীতি অনুসারে, চীন সফর করা আরও সহজ হবে’। শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই (এবিসিএ) আয়োজিত চীনা নববর্ষ বা বসন্ত উৎসব-২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত একথা বলেন।
সবাইকে পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনা দূতাবাস শিক্ষা, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য উভয় বন্ধুপ্রতীম দেশের (বাংলাদেশ ও চীন) জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করার সুযোগ-সুবিধা উন্মুক্ত করবে। তিনি বলেন, চীন আগামী দিনে বেইজিং ও ঢাকার মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করতে আগ্রহী। ওয়েন বলেন, চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা একটি সম্ভাবনাময় ও আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যত বিনির্মানে অবদান রাখছে। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের মতো আরও কর্মসূচির আয়োজনের ওপর জোর দেন। বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা সিলেটে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য চীনের মানবিক সহায়তার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের পক্ষ থেকে এ ধরনের বন্ধুত্বপূর্ণ সহায়তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
বসন্ত উৎসব বা চন্দ্র নববর্ষ নামেও পরিচিত চীনা নববর্ষ হচ্ছে- এই পরাশক্তি দেশটির সবচেয়ে বড় উৎসব, যে সময়টাতে চীনে সাত দিনের ছুটি থাকে এবং সবচেয়ে বর্ণাঢ্য বার্ষিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
এবিসিএ সভাপতি এবং চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এবিসিএ-এর সাধারণ সম্পাদক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এসইউএসটি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহাবুল হক স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুন নাহার।
এরপর, চীনের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড প্রদর্শনের সমন্বয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং অংশগ্রহণকারীদের চীনা সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করার জন্য চীনা ঐতিহ্য, খাবার এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রামান্যচিত্র বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে এবিসিএ একটি ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টও উপস্থাপন করে, যাতে দেখানো হয় যে, বর্তমানে ১২ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত রয়েছে।