শিরোনাম
ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনেও অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্যের আলোকে সহযোগিতা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের সব নির্বাচনেই প্রশাসনের তরফ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনের বিষয়েও আমাদের অবস্থান পরিষ্কার।’
মাহবুব হোসেন আরো বলেন, নির্বাচনে সহযোগিতা করার জন্য তাঁদের ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতা ও ঐহিত্যকে কাজে লাগাবে প্রশাসন এবং সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই নির্বাচনে সহযোগিতা করা হবে।
মাহবুব হোসেন আজ দুপুরে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া তিনদিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নির্বাচনে মাঠপ্রশাসনের সহযোগিতা করা নিয়ে করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলন ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এটাই শেষ ডিসি সম্মেলন।
এই সম্মেলনে সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী ও সচিবগণ সরাসরি উপস্থিত থেকে ডিসিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে হয়তো এটাই শেষ ডিসি সম্মেলন। নির্বাচনের আগে ডিসি সম্মেলন আর নাও হতে পারে। তবে, বছরে একাধিকবার ডিসি সম্মেলনের নজির আছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের সম্মলেনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কে আলোচনার জন্য ২৪৫টি প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। এর মধ্যে এই সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার মতো কিছু বিষয় বেশি গুরুত্ব পাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনদিনব্যাপী এই সম্মলেন ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেবেন ডিসিরা। ডিসিরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুষ্ঠানের পরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রণালয় ও বিভাগভিত্তিক কার্য অধিবেশন হবে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে এবং তৃতীয় দিনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে ডিসিরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এতে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনারাও।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছরের ডিসি সম্মেলনে মোট ২৪২টি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল, অর্থাৎ সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এর মধ্যে ১৭৭টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে। বাস্তবায়নের হার ৭৩ শতাংশ। বাকি ৬৬ টি প্রস্তাব এখনো বাস্তবায়নাধীন।