শিরোনাম
ঢাকা, ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকা ওয়াশিংটনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে দিতে চায় না উল্লেখ করে রাশিয়াকে বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকা জাহাজ পাঠানোর অনুরোধ করেছেন।
এ বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হলে তিনি আজ সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘আমাদের কাছে আশ্চর্যজনক মনে হয়েছে যে রাশিয়া ভালো করে জানার পরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা একটি জাহাজ (বাংলাদেশে) পাঠিয়েছে।... তারা কেবল জাহাজটির নাম পাল্টেছে, যা আমরা আশা করিনি।’
মোমেন আরও বলেন, ‘আমরা রাশিয়াকে বলেছি যে তারা (মার্কিন) নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা ৬৯টি জাহাজ বাদে তাদের যে কোন জাহাজের মাধ্যমে আমাদের মালামাল পাঠাতে পারে।’
রাশিয়া গত মাসে তাদের সহায়তায় নির্মিত বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য একটি জাহাজ পাঠায়। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ঢাকা জাহাজটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।
মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা (মার্কিন) নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা (রাশিয়ার) জাহাজগুলোকে গ্রহণ করতে চাই না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে।’
রুশ পতাকাবাহী জাহাজ- স্পার্টা১১১ গত ২৪ ডিসেম্বর কার্গো আনলোড করার জন্য মংলা বন্দরে ভিড়ার কথা ছিল। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে দেশের আঞ্চলিক জলসীমায় পৌঁছলে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এটির বন্দরে ভিড়তে দিতে অস্বীকার করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন যে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠিতে জাহাজটিকে প্রকৃতপক্ষে তাদের নিষেধাজ্ঞাভুক্ত রুশ জাহাজ আরসা মেজর বলে বর্ণনা করার পরে এই অস্বীকার করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাভুক্ত ৬৯টি রুশ জাহাজের তালিকা অনুসারে আরসা মেজর বা স্পার্টা১১১ হল একটি উভচর/আক্রমণকারী কার্গো জাহাজ (একেএ), যা সরঞ্জাম, পণ্যসম্ভার ও সৈন্য বহনের জন্য তৈরি।
মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়, ঢাকার অস্বীকৃতির পর জাহাজটিকে দৃশ্যত পণ্য খালাসের জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরের দিকে চালিত করা হয়। কিন্তু দুই দিন আগে মস্কো জানায় যে এটি রাশিয়া ফিরে যাচ্ছে।