শিরোনাম
দি হেগ, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : বৈশ্বিক রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ২০১৮ সালের ক্লোরিন হামলার জন্য শুক্রবার সিরিয়াকে দায়ী করেছে। ওই সময় তাদের এ রাসায়নিক হামলায় ৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছিল। ঘটনাটির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই সময় দামেস্ক ও পশ্চিমাদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। খবর এএফপি’র।
তদন্তকারীরা বলেন, এক্ষেত্রে ‘বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ’ রয়েছে যে- সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ চলাকালে দেশটির বিমানবাহিনীর কমপক্ষে একটি হেলিকপ্টার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দৌমা শহরে বিষাক্ত গ্যাসের দুটি সিলিন্ডার ফেলেছিল।
রাসায়নিক অস্ত্র প্রতিরোধ সংস্থার প্রধান ফার্নান্দো আরিয়াস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিশ্ব এখন ঘটনাগুলো জানে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপর নির্ভর করে।’
এদিকে দামেস্ক ও তাদের মিত্র দেশ রাশিয়া দাবি করেছে যে, ২০১৮ সালের ৭ এপ্রিলের হামলাটি উদ্ধার কর্মীরা যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে মঞ্চস্থ করেছিল। এর পরপরই ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সাথে যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা শুরু করে। আরো বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য তাদের আসল অনুসন্ধান প্রতিবেদন পরিবর্তন করায়- সাবেক দুই কর্মচারী হেগ ভিত্তিক এ পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে অভিযুক্ত করার পর দৌমা ঘটনা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
কিন্তু ওপিসিডব্লিউ জানায়, তাদের তদন্তকারীরা এক্ষেত্রে ‘বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য দৃশ্যপট বিবেচনা করে’ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে- ‘সিরীয় আরব বিমানবাহিনী এ হামলার জন্য দায়ী।’
পশ্চিমা শক্তিগুলো একত্রে সিরিয়াকে এ ‘ভয়াবহ’ হামলার জন্য জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, এক্ষেত্রে ‘আমরা রাশিয়ান ফেডারেশনকে সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য জবাবদিহিতা থেকে রক্ষা করা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ওই পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানায়, টাইগার ফোর্স হিসেবে পরিচিত সিরিয়া বাহিনীর একটি ‘অভিজাত’ ইউনিট দৌমা পুনরুদ্ধারের জন্য এ হামলা চালিয়েছিল এবং এতে ইসলামী বিদ্রোহীরা পরের দিনই তাদের যোদ্ধাদের প্রত্যাহার করে নিতে সম্মত হয়েছিল।
এতে বলা বলা হয়, ‘সিরীয় আরব বিমানবাহিনীর কমপক্ষে একটি হেলিকপ্টা থেকে সেখানে দুটি হলুদ সিলিন্ডার ফেলতে দেখা যায়। টাইগার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে কাজ করা ওই হেলিকপ্টার দৌমা বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এ দুই সিলিন্ডার দুটি আবাসিক ভবনে আঘাত হেনেছিল।
এদিকে আরো রাসায়নিক হামলা চালানোর জন্য সিরিয়াকে দায়ী করার পর দামেস্ক এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানানোয় ২০২১ সালে ওপিসিডব্লিউ-এ দেশটির ভোটাধিকার স্থগিত করা হয়।