বাসস
  ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:২৭

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে চার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশে নবনিযুক্ত চার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠককালে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে তাদের এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও এই আস্থাভাজন দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
এতে আরো বলা হয়, অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতগণ এ সময় অত্যন্ত আন্তরিকভাবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, কোভিড পরিস্থিতি ও রুশ-ইউক্রেন সংকটসহ অভীন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও বহুমূখী সহযোগিতার বিষয়ে মতবিনিময় করেন। তাদের মধ্যে চলমান রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে গম, জ্বালানী ও ভোজ্য তেলের সরবরাহ চেইন বিঘিœত হওয়ায় যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে- তা সমাধানে উপায় ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিউবার মহান নেতা ফিডেল ক্যাস্ট্রোকে স্মরণ করেন- যিনি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সাথে তুলনা করেছিলেন। বাংলাদেশ ও কিউবার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে কিউবার রাষ্ট্রদূত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ড. মোমেনের কাছে অভিনন্দনপত্র হস্তান্তর করেন।
ড. মোমেন ২০২৩ সালের ৭ থেকে ৯ মার্চ মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো এবরার্ড কাসাউবোনের নেতৃত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সফরের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং বলেন, এই সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো জোরদার করবে। 
এ সময় ড. মোমেন ২০২৩ সালে ঢাকায় দূতাবাস খোলার ঘোষণা দেয়ায় মেক্সিকো সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এর ফলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, ব্যবসায়ী ও উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সফর এবং দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।
রোহিঙ্গা সংকটের ব্যাপারে বলতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। তাদের নিজ দেশে এরা ধর্ষণ, সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষে আর এই ধরণের শরণার্থীদের চাপ বহন করা সম্ভব নয়। কারণ, আমাদের সম্পদ ও স্থানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
 রোহিঙ্গারা যেন দ্রুত তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদে ও সম্মানের সঙ্গে ফিরে যেতে পারে, সে ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতগণের নিজ নিজ দেশের সরকার যেন সক্রিয় ভূমিকা পালন করে-সেজন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের প্রতি আহ্বান জানান। 
তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে অনিশ্চয়তা বা বিলম্ব শরণার্থীদের চরমপন্থা, মানবপাচার, মাদক পাচার ও অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত অপরাধে জড়িয়ে ফেলতে পারে। আর এমনটা হলে তা বাংলাদেশ, মিয়ানমারসহ গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দেবে।
আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে আসা রাষ্ট্রদূতগণ হচ্ছেন-মেক্সিকোর অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ফেডেরিকো সালাস লোফতে, কিউবার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত আলেজান্দ্রো সিমানসাস ম্যারিন, সার্বিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত সিনিসা প্যাভিক ও কিংডম অব এসওয়াতিনির অনাবাসিক হাই-কমিশনার মেনজি শিফো ডিলামিনি।